‘শয়তান’ তাড়াতে নারীদের চাবুকপেটা!

292

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ‘শয়তান’ তাড়াতে কয়েক হাজার নারীকে লাইন ধরিয়ে চাবুকপেটা করার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তামিলনাড়ুর এক অজপাড়া গাঁয়ের।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় অন্তত ৫ হাজার নারীকে চাবুকপেটা করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, বিজয়া দশমীর উৎসবের সময় হাজার হাজার নারী ও কিশোরী লাইন ধরে ধর্মগুরুর চাবুকের বাড়ি খাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর তাদেরকে একে একে চাবুক দিয়ে পিটানো হয় যতক্ষণ না তারা বেদনায় কুঁকড়ে ওঠে।

এই অমানবিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তামিলনাড়ুর তিরুচি এবং নামাক্কাল জেলার সীমান্তে অবস্থিত বাভিথ্রাম ভেল্লালাপাত্তি গ্রামের শ্রী আচাপ্পান নামক মন্দিরে।

ওই নারীরা স্বেচ্ছায়ই চাবুকের বাড়ি খাচ্ছিল। তাদের ধারণা এতে তাদের ওপর থেকে ভুত-প্রেত বা শয়তানের আছর কেটে যাবে। অনেকে আবার বিশ্বাস করে এর মধ্য দিয়ে রোগমুক্তি ঘটবে।

চেল্লি নামের এক ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা দাবি করেন, একটি মাত্র চাবুকের বাড়িতে তাদের অসুস্থতা ভালো হয়ে যাবে; বেদনা এবং শয়তানের আছর থেকে মুক্তি মিলবে।

১৪ বছর বয়সী এক বালিকা জানায়, সে চাবুকের বাড়ি খেতে এসেছে তার অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। তার বিশ্বাস ধর্মীয় উৎসবের চাবুকের বাড়ি খেলে তার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

আরেক নববিবাহিতা নারী জানান, তিনি চাবুকের বাড়ি খেতে এসেছেন, কেননা তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মনে করে তার ওপর অশুভ আত্মা বা শয়তানের আছর আছে। যে কারণে তার শ্বশুর বাড়িতে কোনো সৌভাগ্য বয়ে আসবে না।

নারীদেরকে চাবুক দিয়ে প্রহারকারী ধর্মগুরুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ধরনের কাজ কি অপরাধ নয়? উত্তরে তিনি বলেন, জনগন তাদের বিশ্বাসের কারণে স্বেচ্ছায়ই চাবুকের বাড়ি খেতে মন্দিরে এসেছে।

কেউ যদি স্বেচ্ছায় না আসতো তাহলে আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে চাবুকের বাড়ি খাওয়ার জন্য তাদেরকে মন্দিরে আসতে বলতাম না।

Leave A Reply

Your email address will not be published.