এটা কী ধরনের সংলাপ? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

195

ঢাকা: ‘একদিকে আলোচনা অন্যদিকে সংলাপ’ বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলন আর আলোচনা একসঙ্গে কীভাবে সম্ভব এমন প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।

রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে শনিবার আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, ‘যখন এই আলোচনা চলছে, আবার তখনই দেখলাম আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়। একদিকে আলোচনা করবে, আবার অন্যদিকে আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া- তাহলে এটা কী ধরনের সংলাপ; আমাদের কাছে এটা বোধগম্য নয়। জানি না, জাতি এটা কীভাবে নেবে। তবে আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক’

গণভবনে অনুষ্ঠিত সংলাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই সবার অংশগ্রহণে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংলাপে বসেছি। দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, দেশের মানুষ তার পছন্দমতো ভোট দিতে পারুক, তারা তাদের পছন্দের সরকার বেছে নিক; সে কারণেই আমি ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমি কিন্তু একটা কথাও বলিনি প্রথমে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তাদের কথা শুনেছি। শেষে গিয়ে আমি কথা বলেছি। সেখানেও বলেছি কোনটা কোনটা আমরা করতে পারি, কোনটা রাষ্ট্রপতির, কোনটা নির্বাচন কমিশনের, কোনটা কীভাবে করা যায় এসব নিয়ে বলেছি।’

সংলাপের জন্য ঐক্যফ্রন্টের চিঠি ও সাত দফা দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংলাপের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছিল। চিঠি পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে স্বাগত জানালাম। যারাই দেখা করতে চাইছেন, ইতিমধ্যেই ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কথা রয়েছে। তারা সংলাপ করতে চেয়েছে, আমরা করেছি। তারা যেসব দাবি-দাওয়া দিয়েছে, আমাদের পক্ষে যা মানা সম্ভব তা মানবো। তারা রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছেন। আমরা বলেছি তালিকা দেন। তাদের বিরুদ্ধে যদি খুনের মামলা না থাকে, কোনও ক্রিমিনাল অফেন্স তারা করে না থাকে, তাহলে অবশ্যই.. আর আমরা তো কাউকে রাজবন্দি করি নাই। তাই যদি করতাম তাহলে যখন মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা শুরু হলো, তখনই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারতাম। গ্রেফতার করতে পারতাম। আমরা তো রাজনৈতিক কারণে কারও বিরুদ্ধে মামলা করিনি। খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাদেরই আপনজন। তাদেরই বানানো রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন, সেনাপ্রধান মঈনুদ্দিন, সবাই তো বিএনপির নিয়োগ দেয়া লোক। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন তাদের তো একজন উপদেষ্টা মনে হয়। সেই মামলাটা তৈরি করে দিয়েছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। তাদের দেওয়া মামলা ১০টা বছর ধরে চলেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কিছু থাকলে ১০ বছর ধরে মামলা চলার কথা না। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.