পাকিস্তানে ‘তালেবান গুরু’ সামিউল নিহত
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে ‘ফাদার অব দ্য তালেবান’ নামে পরিচিত ৮০ বছর বয়সী মুসলিম নেতা সামিউল হক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডি শহরে অজ্ঞতনামা ব্যক্তিদের হামলায় তিনি মারা যান।
তার এক আত্মীয় দাবি করেন, অজ্ঞাতনামা হত্যাকারীরা এসে তার রাওয়ালপিন্ডির বাড়িতে তাকে ছুরি মেরে হত্যা করে।
সামিউল হক উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন।
তাকে তালেবান আন্দোলনের প্রধান নেপথ্য পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হতো। কারণ এই আন্দোলনের প্রথম সারির নেতাদের গুরু বা শিক্ষক ছিলেন তিনি। পরে তিনি একটি দল থেকে পাকিস্তানে সেনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সামিউল হক পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনতোয়া প্রদেশের আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে দারুল উলুম হাক্কানিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। তারই ছাত্রদেরই একজন ছিলেন তালেবান নেতা মোল্লা ওমর।
মোল্লা ওমর আশির দশকে তার সহপাঠীদের নিয়ে আফগানিস্তানে যান সোভিয়েত সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। পরে এই মোল্লা ওমরই তালেবান প্রতিষ্ঠা করেন। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন চলে যাওয়ার পর গৃহযুদ্ধ এবং চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৯৯৬ সালে তালেবান ক্ষমতা দখল করে।
তালেবান আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সামিউল হক পাকিস্তানে কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই মাদ্রাসা চালাতেন। তাকে কোনো রকম অসুবিধায় পড়েত হয়নি। বরং এই মাদ্রাসার জন্য তিনি পাকিস্তানের আঞ্চলিক সরকারগুলোর কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ পেতেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সামিউল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেছেন, পাকিস্তান এক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী নেতাকে হারিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা