টানা ১২ দিন ট্র্যাফিক জ্যাম!

456

ঘর থেকে বের হলেই যানজটে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে থাকা তো প্রতিদিনের ব্যাপার। অনেকেই বিরক্ত হয়ে বলেন এরকম জ্যাম বোধহয় বিশ্বের আর কোথাও হয় না। তা হলে আপনি একেবারে ভুল ভাবছেন। ইতিহাসে এরকম কিছু ট্র্যাফিক জ্যাম ঘটেছে যা শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবে।

ইন্দোনেশিয়ার ব্রেবেসে ২০ কিমি জুড়ে যানজট হয়েছিল ঈদের ছুটির সময়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে টানা তিন দিনের এই যানজটের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েও মারা যান ১২ জন।

ব্রাজিলের সাও পাওলোতে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রায় ৩০৯ কিমি জুড়ে বিস্তৃত হয়েছিল যানজট। যা চলেছিল প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। ছুটিতে বাড়ি ফেরার কারণে হয়েছিল এই যানযট।

১৯৬৯ সালের আগস্টে উডস্টক ফেস্টিভ্যালকে কেন্দ্র করে নিউ ইয়র্কের রাস্তায় ৫০ হাজারের বদলে ৫ লক্ষ মানুষ এসেছিল। যাতে ৩২ কিমি যানজট হয়, তাও প্রায় তিন দিন টানা।

বেজিং-তিব্বত এক্সপ্রেসওয়েতে টানা ১২দিন ধরে স্থায়ী ছিল যানজট। ২০১০ সালের আগস্টের ঘটনা।

বার্লিন দেয়াল ভাঙার পর ১৯৯০ সালে প্রায় এক কোটি আশি লক্ষ গাড়ি বেরিয়ে রাস্তায়। টানা ৪৮ কিমি ধরে ৪৮ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এই যানজট।

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকার হিউস্টনে প্রায় ১৬১ কিমি জুড়ে তৈরি হয়েছিল এই যানজট। হারিকেন রিটার আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বের হয়।

১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবহাওয়ার কারণে প্রায় ১৭৫ কিমি রাস্তাজুড়ে প্যারিসে এই ভয়াবহ যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। একাধিক মানুষ ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন তখন।

রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ পর্যন্ত প্রায় ২০১ কিমি রাস্তা জুড়ে ছিল যানজট। ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তুষারঝড়ের কারণেই তৈরি হয়েছিল এই পরিস্থিতি।

১৯৯০ সালে টাইফুনের আতঙ্কে টোকিওতে প্রায় ১৩৫ কিমি দীর্ঘ একটি যানজট তৈরি হয়েছিল। আটকে ছিল ১৫ হাজার গাড়ি।

চিনের বেজিং-হংকং-ম্যাকাও এক্সপ্রেসওয়েতে হাজারেরও বেশি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০ ঘণ্টা। ২০১৫ সালের অক্টোবরে একটি নতুন চেক পয়েন্ট তৈরির কারণেই এই যানজট। যেটি ৫০টি রাস্তাকে ২০টি রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করেছে।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তুষারঝড়ের ফলে শিকাগোর রাস্তায় জমে গিয়েছিল প্রায় ৫১ সেন্টিমিটার পুরু বরফ। ১২ ঘণ্টার ঝড়ে যানজট শুধু নয়, গাড়িগুলো রাস্তায় বরফে ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.