ট্রাম্পের মনোনীত ক্যাভানোর বিচারপতি হতে বাধা নেই
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচাপতি হচ্ছেন ট্রাম্প মনোনীত ব্রেট ক্যাভানো। শুক্রবার সিনেটের প্রধান প্রধান সদস্য সমর্থন দেয়ার পর তার নিয়োগ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন কংগ্রেস।
যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠা এই বিচারপতির নিয়োগ চূড়ান্ত করতে শনিবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে শুক্রবার ব্রেট ক্যাভানোকে দুই গুরুত্বপূর্ণ সিনেটর সমর্থন দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স ও ডেমোক্র্যাট সিনেটর জোয়ে ম্যানকিনের সমর্থন পাওয়ায় যৌন নিপীড়নে বিতর্কিত এই ব্যক্তির নিয়োগ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এর আগে বৃহস্পতিবার ব্রেট ক্যাভানোর নিয়োগ বাতিল করার দাবিতে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করেছিল শত শত মানুষ। এই বিক্ষোভ থেকে ৩ শতাধিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই তার নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার কথা জানা গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও আটজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত। প্রেসিডেন্ট মনোনীত বিচারপতিদের নিয়োগ দেয় সিনেট। একবার নিয়োগ পাওয়ার পর পদত্যাগ,অবসর বা অভিশংসন ছাড়া ওই বিচারপতিরা আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ বছর বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
গত জুলাইয়ে ব্রেট ক্যাভানোকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেন ট্রাম্প। কাভানাহর বিরুদ্ধে প্রফেসর ক্রিস্টিন ব্লাসে ফোর্ডসহ তিনজন নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে এফবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। শুরু থেকে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাঁচদিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এফবিআই। জনসমক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা না হলেও ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে কাভানাহকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার জানা গেছে মার্কিন কংগ্রেসে ৫১-৪৯ ভোটে সুপ্রীম কোর্টে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কাভানাহ।
সূত্র: বিবিসি