ঢাকায় ইলিশের কেজি মাত্র ৪০০ টাকা!

309

ঢাকা: ইলিশের তেমন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না আষাঢ় মাসে। যে সময়টাকে ইলিশের ভরা মৌসুম বলে দাবি করা হয় সে সময়টাতে তেমন ইলিশের দেখা না পাওয়ায় অনেকেই যেন কিছুটা হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু একটু দেরি করে হলেও খবর মিলেছে ইলিশের। পদ্মায় এখন ঝাঁক বাঁধতে শুরু করেছে এই সুস্বাদু মাছ। বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন বিষখালী, বলেশ্বর নদী ও গভীর সমুদ্রে এখন ইলিশের জোয়ার।

আর এর ফলে মাছের দাম কমেছে সারা দেশে। মাছের ঢল নামতে শুরু করেছে রাজধানীর বাজারে। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া বাজারে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

শুধু শনির আখড়া নয়, প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রায়েরবাগের ছোটও বাজারে দেখা যায়, মোটামুটি আধা কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।

তবে বড় মাছ যে বড় দামে বিক্রি হচ্ছে না, তা নয়। প্রায় এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের ভরা মৌসুমেও এবার খরা ছিল; সে কারণে এতদিন এ ধরনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। এখন ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। তার জন্য দাম কমছে। তবে সামনে কুরবানির ঈদ হওয়ায় চাহিদা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

২০০৭ সালে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছিল। সর্বশেষ মৌসুমে তা পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের মতো হয়েছে। অর্থাৎ দশ বছরে ইলিশের উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জাটকা এবং প্রজননের সময় ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করাসহ বিভিন্ন প্রচেষ্টার ফলে ২০১৬-১৭ সালে যেমন ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া লক্ষ্যমাত্রা-অতিক্রম করে মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

চলতি বছরেও পর্যাপ্ত ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সংশিষ্টরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.