কোপেনহেগেনে জাতির পিতার ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

507

কোপেনহেগেন: কোপেনহেগেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ ভাব গাম্ভীর্য ও শ্রদ্ধার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। প্রত্যুষে কোপেনহেগেনে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত দূতাবাস চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে দূতাবাস কর্তৃক দূতাবাস মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, শিল্পী, ও বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ব্যাক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানের মহান কর্মজীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ আলোচনা অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বক্তাগণ তাঁদের আলোচনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক গুলোর উপর আলোকপাত করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর জীবনদর্শণ থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তৃতায় স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রের মহান, উল্লেখযোগ্য ও অনুকরণীয় দিক সম্পর্কে আলোকপাক করেন । তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে ও মহানুভবতায় বাঙ্গালী জাতির অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি বলেন, বাঙ্গালীর দীর্ঘ স¦াধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও তাঁর নেতৃত্বগুনের ফলেই পাকিস্থানী শাসকদের করাল থাবা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। তিনি ১৫ আগষ্টের ভয়াল রাতে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার পরিজনদের উপর স্বাধীনতা বিরোধী এবং ৭১ এর পরাজিত শত্রুদের দ্বারা নির্মম হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানান।

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার স্বপ্ন ও আদর্শকে সামনে রেখে একটি অসাম্পদ্রায়িক, প্রগতিশীল এবং গনতান্ত্রিক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন । পরিশেষে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মনিয়ে গবেষণা করার উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নপূরণের পথে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে কাজ করার আহ্বান জানান। দূতাবাসের আয়োজনে উপস্থিত অতিথিদের তবারক বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.