স্পেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রবাসীর মিলনমেলা ও সমুদ্র ভ্রমন
কবির আল মাহমুদ :মাদ্রিদ ,স্পেন : স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রবাসীর বার্ষিক বনভোজন ও সমুদ্র ভ্রমন।ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রবাসী, মাদ্রিদ স্পেনের উদ্যোগে গত সোমবার (১৩ আগষ্ট ২০১৮) প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভ্যালেসিয়ার কূলেরা সমুদ্র সৈকত। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এ সমুদ্র সৈকতটিতে অনুষ্ঠিত হয় সমুদ্র ভ্রমন ও বনভোজন।৩৫৫কিলোমিটার দূরের ভ্রমনে প্রবাসীরা আনন্দে দিনটি অতিবাহিত করেন।রাজধানী মাদ্রিদের গ্লরিয়েতা এম্বাখাদোরেস থেকে সকাল ৬ টায় বাস যোগে রওয়ানা হয়ে প্রায় ৪ ঘন্টা পরে গন্তব্য স্হলে পৌছান।
যাত্রার শুরুতে অংশগ্রহণকারী সকলকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান কমিনিটি নেতা শামীম আহমদ। লং জার্নির সময় বাসে মাইক্রফোনের সাহায্যের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন যুবনেতা ফখরুল হাসান। যাত্রার শুরুতে কমিনিটি নেতা শামীম আহমদ তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অংশ গ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসীর মধ্যে সেতু বন্ধনের উদ্দেশ্যে এই সুন্দর আয়োজন।প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে আমাদের কৃষ্টি কালচারের সাথে পরিচয় করানোর গুরুত্বারোপ করেন এবং দেশ ও প্রবাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাসীর কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।এসময় অন্যান্যের মধ্যে দেন স্পেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম সরকার ,স্পেন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল হাসান, স্পেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবু তাপস দেব নাথ ,কাজী আলমগীর ,মঈন উদ্দিন ,মোঃ বাছির মুন্সি ,মোঃ রাকিব ,আল মামুন ডালিম ,ফারুক মিয়া ও ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।
প্রবাসে ব্যাস্ত জীবনের ক্লান্তি দূর করে প্রশান্তি নিতে এই সমুদ্র ভ্রমন ও বনভোজনে উপস্থিত হয়েছিলেন দলমত নির্বিশেষে বহু প্রবাসীরা।এতে অনেক মহিলা এবং শিশুরাও অংশ নেন। বনভোজন স্থল মাদ্রিদপ্রবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।
উল্লেখ্য ইউরোপের মাটিতে জীবনের প্রয়োজনে বসবাস করলেও মন কাধেঁ সর্বদা জন্মভুমি বাংলাদেশের মা,মাটি ও মানুষের জন্য। ভ্রমন পিপাসু অংশগ্রহণকারীরা সমুদ্র সৈকতে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করেন। হরেক পদের মুখরোচক বাংগালী খাবার খেয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে থাকেন। যারা রান্না করেছেন, তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানান। খাওয়া শেষে অনেকেই আনন্দ মনে মুঠোফোনের সাহায্যে বারবার “সেলফী ” তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। এরপর শুরু হয় লবনাক্ত পানিতে সাতার কাটা, হৈ হুল্লোড়, হ্যান্ডবল খেলা, ফুটবল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দিনব্যাপী সমুদ্র সৈকত ভ্রমন ও বনভোজনের আনন্দ উপভোগ করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। প্রবাসীরা যখন সুখের দোলায় উক্ত মনোরম স্থান ত্যাগ করেন তখন সুর্য প্রায় হেলে পড়েছে সাগর পাড়ে। সুর্যাস্তের এই দৃশ্য খুবই চমৎকার। ঘর ফেরার সময় সমবেত স্বরে উচ্ছারিত হয়েছিল “সূর্যদয়ে তুমি সূর্যোস্তে ও তুমি ও আমার বাংলাদেশ প্রিয় জন্ম ভূমি।”