দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালন

432

সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালন করা হয় । এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহন করে ।

১৫ আগস্ট সকাল ০৯.০০ ঘটিকায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন । এরপর দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর উপর চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় । এতে কোরিয়াতে অবস্থানরত বিভিন্ন বয়সের শিশুকিশোররা অংশগ্রহণ করে । অতঃপর রাষ্ট্রদূত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন । এই শোক দিবস উপলক্ষ্যে কোরিয়ান সেকেন্ডারী স্কুল টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন (কোসেটা) এর সহযোগিতায় সেপ্টেম্বরে কোরিয়ান শিশুদের জন্য এ ধরণের অপর একটি চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে ।

সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে মূল পর্বের অনুষ্ঠান শুরু করা হয় । এই পর্বে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়াস্থ বাংলাদেশী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা । এছাড়াও এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস কতৃক নিযুক্ত ০৪ জন শুভেচ্ছাদূত উপস্থিত ছিলেন । পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ শেষে ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারীদের স্মরণে ১(এক) মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয় । পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পড়ে শোনান । এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবনী ও অবদানের উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে জাতির জনকের অবদানের উপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কোরিয়াতে বসবাসরত উপস্থিত বাংলাদেশের নাগরিকগণ । মুক্ত আলোচনায় বক্তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন । এই সময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শুভেচ্ছাদূতের মধ্যে থেকেও ০২ জন তাদের মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন ।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত সেই ভয়াল রাতের কথা স্মরণ করেন । তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন । এছাড়া তিনি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধুর অশেষ অবদানের কথা তুলে ধরেন।

এরপর বঙ্গবন্ধু স্মরণে কবিতা পাঠ করা হয় । সেখানে দূতাবাস পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন । আনুষ্ঠানিক পর্ব শেষে উপস্থিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.