মানবতাবিরোধী অপরাধে ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

377

ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ পাঁচজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়ে আজ রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ এ রায় দেয়। ১৫৯ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসার পড়া হয়। রায় দেয়ার সময় ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় পাঁচ আসামিকে কারাগার থেকে হাজির করা হয়। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ তথা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আনা মামলায় ৩৪ তম রায়।

২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পাঁচজনকেই গ্রেফতার করা হয়। ইসহাক সিকদার ছাড়া অন্য চারজন হলেন- আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা।

গত ৩০ মে পটুয়াখালীর ৫ আসামির বিষয়ে যুক্তিতর্ক শেষে যে কোনো দিন রায় (সিএভি) ঘোষণা করবে বলে আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ আসামিদের বিষয়ে ২০১৭ সালের ৮ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ওই সময়ে হত্যা ও ১৭ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে এখনও আটজন বীরঙ্গনা জীবিতও রয়েছেন।

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, আটক নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের দু’টি দায়ে এই পাঁচজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আপিল করবে আসামিপক্ষ। আশা করি সেখানে তারা খালাস পাবেন। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, আসামিরা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে, যা তাজা একটি বুলেটের চেয়েও ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী। যিনি বা যারা এর শিকার হয়েছেন, সারা জীবন তাদের এই ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা বহন করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.