ফোবানা সম্মেলন-২০১৯ এর প্রস্তুতি শুরু: সাংবাদিকদের সাথে ড্রামা সার্কল’র মতবিনিময়
নিউইয়র্ক: চলতি বছরের অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফোবানা সম্মেলন শেষ হতে না হতেই আগামী বছরের অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফোবানা সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আয়োজক সংগঠন ড্রামা সার্কল, নিউইয়র্ক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তাদের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। মতবিনিময় সভায় ফোবানার নতুন কর্মকর্তারাগণ অতীতের ফোবানা সস্মেলনের আলোকে এবং অতীতের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য ৩৩তম ফোবানা সম্মেলন কিভাবে আরো ভালো, সুন্দর, কার্যকর এবং সময়োপযোগী করা যায় সে ব্যাপারে সাংবাদিকদের পারামর্শ কামনা করেন। খবর ইউএনএ’র।
৩৩তম ফোবানা সম্মেলনের কনভেনর নার্গিস আহমেদ-এর জ্যামাইকাস্থ বাসায় গত ৬ আগষ্ট সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত উল্লেখিত মতবিনিময় সভায় তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক/পরিচালক ও সাংবাদিকদের স্বাগত জানান। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন এই সম্মেলনের সদস্য সচিব আবীর আলমগীর। এসময় চীফ কো-অর্ডিনেটর জহির মাহমুদ ও রেজিষ্ট্রেশন উপ কমিটির চেয়ারম্যান পলাশ পিপলু ছাড়াও ড্রামা সার্কল-এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় ফোবানা সম্মেলনের কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের ৩৩তম ফোবানা সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রের লেবার ডে উইকেন্ডে অর্থাৎ ৩০-৩১ আগষ্ট ও ১ সেপ্টেম্বম্বও তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের শ্লোগান থাকবে ‘আওয়ার চিলড্রেন আওয়ার প্রাইড’। গতানুগতিক ফোবানা সম্মেলন নয়, বরং দৃষ্টান্তস্থাপনকারী সম্মেলন উপহার দিতে চাই। এজন্যই সর্বাগ্রে মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ চাই। কেননা, ফোবানা সম্মেলন সফল করতে মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাছাড়া ফোবানার শুরু থেকেই নিউইয়র্কের সাংবাদিকরা ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। ফোবানার ভালো-মন্দের স্বাক্ষী সাংবাদিকরা।
ফোবানা কর্মকর্তারা জানান, ২০১৯ সালের ফোবানা সম্মেলন ঐতিহাসিক সম্মেলনে পরিণত করতে প্রাথমিকভাবে ভেন্যু হিসেবে ম্যানহাটানের ঐতিহাসিক মেডিসন স্কয়ার গার্ডেন মনোনীত করে ভেন্যুটি পাওয়ার চেষ্টা চলছে। এই ভেনুর ব্যাপারে স্পন্সর ও পৃষ্ঠপোশকদেও আগ্রহও বেশী। বিকল্প ভেনু হিসেবে ম্যানাহাটানের হিলটন হোটেল, ম্যারিয়ট র্মাুইস হোটেল এবং লং আইল্যান্ডের নাসাউ কলাসিয়াম-এর কথাও ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি স্পন্সরদের জন্য ১০টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে স্পন্সর অর্থও ঘোষণা করা হয়েছে। স্পন্সরগুলোর মধ্যে এক্সক্লুসিভ সিঙ্গেল টাইটেল ৭৫ হাজার ডলার, টাইটেল স্পন্সর ৪০ হাজার ডলার, ডায়মন্ড স্পন্সর ২৫ হাজার ডলার, রুবি স্পন্সর ২০ হাজার ডলার, স্যাফিয়ার ১৫ হাজার ডলার, টোপাজ স্পন্সর ১০ হাজার ডলার, ফোবানা-২০১৯ আইকন স্পন্সর ১০ হাজার ডলার, প্লাটিনাম স্পন্সর ৫ হাজার ডলার, গোল্ড স্পন্সর ৩ হাজার ডলার এবং সিলভার স্পন্সরের জন্য ১,৫০০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬জন স্পন্সর সাড়াও দিয়েছেন। এরা হলেন- ফ্লোরিডার নওশাদ চৌধুরী, নিউইয়র্কের জন ফাহিম, জিয়া হাই, কবীর পাটোয়ারী ও পারভীন পাটোয়ারী। তাদের কারো কারো অর্থের চেক ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে।
কর্মকর্তারা জানান, এই সম্মেলনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে ফামাক্যাশ এবং যৌথভাবে উৎসব ডট কম ও হিলসাইড হোন্ডা তাদের অংশগ্রহনের কথা চুড়ান্ত করেছে। এছাড়াও অচিরেই অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে ফোবানা সস্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলেও তারা জানান।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকগণ তাদের বক্তব্যে ইতিপূর্বে দুই দুই বার মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার নানা অভিজ্ঞতা সহ বিভিন্ন সম্মেলনের অভিজ্ঞতা এবং সর্বশেষ অনুষ্ঠিত আটলান্টা ফোবানা সম্মেলনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন এবং মিডিয়ার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।