আসাম গিয়ে মার খেলেন মমতার মন্ত্রী-সাংসদরা!
আসামে ৪০ লাখ ভারতীয়কে নাগরিক তালিকা থেকে বাধ দেয়ার ঘটনায় আসামে মন্ত্রী ও সাংসদদের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আসামের শিলচর বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। কয়েকজন সাংসদ বলছেন, এ সময় দুর্ব্যবহারের পাশাপাশি তাদেরকে মারধরও করেছে পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার।
প্রতিনিধি দলে থাকা রাজ্য বিধায়ক সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘বিমানবন্দরে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ আমাদেরকে ঘিরে ফেলা হয়। একজন পুলিশ সদস্য আমার আমার বুকে আঘাত করেন। অন্যদিকে কাকলি ঘোষ দাস্তিদার, মমতা বালা ঠাকুর ও মহুয়া মৈত্রকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যায় তারা।’
প্রতিনিধি দলের সদস্যদের আসামের শিলচর, নওগাঁ ও গোয়াহাটিতে সমাবেশে যোগ দেয়ার কথা ছিল।
প্রতিনিধি দলে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বিধায়করা হলেন, পশ্চিমবঙ্গের নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, এমএলএ মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক সুখেন্দু শেখর রায়, কাকলি ঘোষ দাস্তিদার, মমতা বালা ঠাকুর, রত্না দে নাগ, নাদিমুল হক ও অর্পিতা ঘোষ।
আসামের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৮ জনের নাম। এদের বেশিরভাগই বাংলাভাষী মুসলমান বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য এখনও দেওয়া হয় নি। এছাড়া বাদ পড়েছে অনেক বাঙালী হিন্দুর নামও। বাদ পড়াদের বাংলাদেশে পুশ ইন করা হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।