সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

201

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়ে তুলেছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়াও আমাদের দায়িত্ব। কেউ যেন সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে না জড়াতে পারে, সেজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা অপরিহার্য।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সমালোচনা যারা করছে, তারা সবকিছু কি অনুধাবন করছে? আজকের এই দিনে আমি অন্য কিছু বলতে চাই না। শুধু এটুকুই বলবো, কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। তবে সেটাকে উদ্দেশ্যে করে অশান্তিও কাম্য নয়। অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে?’

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসঙ্গে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের বিষয়ে করা আরেক প্রশ্নের এক জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনতো আপন গতিতে চলে। আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি না এটা দৃষ্টি ভঙ্গির ব্যাপার। কোনটা আপনার কাছে অপপ্রয়োগ আর কোনটা অপপ্রয়োগ না, এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কিন্তু আমিতো মনে করি, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে, চলবে। যদি কেউ অপরাধ না করে, তার বিচারে শাস্তি হবে না। কিন্তু আদৌ অপরাধ হচ্ছে কি না বা এমন কোন কাজ করছে কি না যেটা দেশের ক্ষতি হচ্ছে, জনগণের ক্ষতি হচ্ছে; সেকাজ থেকে বিরত করা।

আজ বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন। এ সময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পরিকল্পনা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২৪ আসলে তখন সিদ্ধান্ত নেব, কী করবো। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার মান ধরে রাখতে হবে। এজন্য আমাদের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আমার মনে হয়, এ কথার মধ্যে সব উত্তর আছে।’

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। প্রধানমন্ত্রীর হাতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। এরপর এ নিয়ে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তার বক্তব্য শেষেই শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.