মা হচ্ছেন রূপান্তরকামী পুরুষ

152

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমাদের সমাজের ধারণা, যারা ট্রান্সজেন্ডার বা ইন্টারসেক্স হয়ে জন্মায়, এইটা বোধ হয় তাদের চিরনিয়তি । এইভাবেই বোধ হয় তাদের থাকতে হবে চিরদিন । কিন্তু না, বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতি এনে দিয়েছে এর অনেক সমাধান।

ট্রান্সজেন্ডার বা রুপান্তরকামীদের শরীরের সঙ্গে মনোলিঙ্গের কোনো সামঞ্জস্য থাকে। অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডাররা দেহ এক ধরনের ও আরেক ধরনের মনোলিঙ্গ নিয়ে জন্মায়। মানে, ট্রান্সজেন্ডার ছেলেরা শরীরের দিক থেকে ছেলে হলেও তাদের ব্রেইন থাকে মেয়ের আবার ট্রান্সজেন্ডার মেয়েরা শরীরের দিক থেকে মেয়ে হলেও তাদের ব্রেইন থাকে ছেলের। ট্রান্সজেন্ডাররা সাধারণত জন্ম দিতে অক্ষম। তবে ট্রান্সজেন্ডারের গর্ভবতী হওয়ার ঘটনায় সত্যিই চমকে উঠেছে অনেকে। না এটা কোনও মিরাকেল নয়। এটা সায়েন্স। ঘটনাটি ঘটেছে বস্টনে।

ছোট থেকেই ছেলেদের মতো করে বড় করা হয়েছে মিকিকে। কিন্তু তার মধ্যে সব গুণই ছিল মেয়েদের। শুধু শরীরে পুরুষ অঙ্গ থাকায় তাকে ছেলেদের মতো বাঁচতে হচ্ছিল। কিন্তু সব সময় তার আগ্রহ মেয়েদের মতো সাজগোজে।

কিন্তু সমাজ তাকে মেয়েদের মতো জীবন কাটাতে দেয়নি। তাকে থাকতে হয়েছে ছেলে সেজে। কিন্তু সে যখন বড় হয়। তখন তার হাঁটা-চলা সব কিছু মেয়েদের মতোই থেকে যায়।

কিন্তু বড় হওয়ার পর সেক্স বা যৌন সম্পর্ক করার পর বা প্রস্রাব করার সময় শরীরে অসুবিধে হতে থাকে মিকির। এরপর সে ডাক্তারের কাছে যায়। তখনই টেস্ট করে দেখা যায় তার শরীরের ভিতরে মেয়েদের ইউটেরাস, ওভারি সব আছে।

এ কথা জানার পর মিকি ডাক্তারদের জানায় সে মা হতে চায়। এর পর ফার্টিলিটি প্রসেসের মাধ্যমে গর্ভবতী হয় মিকি। চার মাসের গর্ভবতী সে। তার শরীরের বাইরের অঙ্গ পুরুষের মতো। আর ভিতরের সব কিছু নারীর দেহের মতো। তাই গর্ভধারণে সক্ষম সে। জীবনের এই পরিবর্তনে খুশি মিকি। এখন সে একজন মেয়ের মতো করেই জীবন কাটায়।

বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞান সেক্স চেঞ্জ সার্জারী বা লিঙ্গ পূনঃনির্ধারনী শল্যচিকিৎসা খুবই দ্রুত এগিয়ে গেছে। এর মাধ্যমে একজন রুপান্তরকামী ছেলে হতে পারবে মেয়ে আর একজন রুপান্তরকামী মেয়ে হতে পারবে ছেলে । টেস্টটিউবের মত রুপান্তরকামীরা সন্তানও জন্ম দিতে সক্ষম।

Leave A Reply

Your email address will not be published.