কোরআন পোড়ানোর ষড়যন্ত্র, ডেনমার্কের ৫ নাগরিককে বহিষ্কার করল বেলজিয়াম

312

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিছুদিন আগেই ফ্রান্সের একটি স্কুলে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-কে অবমাননা করেন একজন শিক্ষক। এর জেরে ওই শিক্ষককে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। খবর বিবিসি’র।

এই ঘটনার পর ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। এতে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে গোটা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়। বিশ্বজুড়ে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাপী এখনও সেই বিতর্ক চলছে। এর মাঝেই বেলজিয়ামে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা করে গ্রেফতার হল ডেনমার্কের পাঁচ নাগরিক। পরে তাদের সেই দেশ থেকে বহিষ্কারও করে বেলজিয়াম সরকার।

জানা গেছে, সম্প্রতি ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থী নেতা রাসমুস পালুদানের দল স্ট্রাম কুর্সের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করেছিল বেলজিয়ামে বসবাসকারী ডেনমার্কের পাঁচ ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হওয়ার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে বেলজিয়ামের প্রশাসন। অভিযুক্তরা বেলজিয়ামের ব্রাসেলস জেলার মোলেনবিক এলাকায় কোরআন পোড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে জানা যায়। সেখানে বসবাসকারী মরক্কোর মুসলিম সম্প্রদায়কে উত্তেজিত করে বেলজিয়ামে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
এরপরই ওই পাঁচ ডেনমার্কের নাগরিককে গ্রেফতার করে জেরা করা শুরু হয়। পরে তারা নিজেদের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করলে অভিযুক্তদের অবিলম্বে দেশ থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেয় দেশটির প্রশাসন।

এ প্রসঙ্গে বেলজিয়ামের এক মন্ত্রী জানান, ডেনমার্কের ওই নাগরিকরা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোর জন্য কোরআন পোড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরই তাদের গ্রেফতার করে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কয়েকদিন আগে ফ্রান্সেও কোরআন পোড়ানোর হুমকি দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল রাসমুস পালুদান। এর জেরে বুধবার তাকে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হয়।

এর আগে গত আগস্টে তার সমর্থকরা সুইডেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী মালমোতে কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলে। এতে সেখানে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে ওঠে ও চরম সহিংসতা ছড়িয়ে। এমনকি পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদকারীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.