ডায়নার জন্য পাগল ছিল ট্রাম্প

238

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: নীল চোখের মায়াই হোক কিংবা সোনালি চুলের রহস্য। কারণ যাই হোক না কেন, প্রিন্সেস ডায়ানার প্রেমে পড়েননি এমন পুরুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার রূপের মুগ্ধতা মহিলারাও এড়াতে পারেন না। এমন মহিয়সীর প্রতি যে ডোনাল্ড ট্রাম্পও আকৃষ্ট হবেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই৷ ২৫ বছর আগে সেই ডায়ানাকে পাওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন ছিলেন মরিয়া। তাকে কাছে পাওয়ার জন্য পাগলের মতো চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু ফলাফল শূন্য। কিন্তু ডায়নাকে কাছে পায়নি তৎকালীন ব্যবসায়ী সম্রাট, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, বিলিয়নিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প।

১৯৯৫ সালে নিউইয়র্কে একটি নৈশভোজে প্রথম সাক্ষাৎ হয় ট্রাম্প ও ডায়ানার। তখন থেকেই ডায়ানাকে পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন ধনকুবের ট্রাম্প। কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই ডায়ানার সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান তিনি। ডায়ানাকে খুশি করতে বেশ কয়েক জোড়া ফুলের তোড়া কিংসটন প্যালেসে পাঠান ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প যেমনটা আশা করেছিলেন, সে রকম কোনো সাড়াই দেননি প্রিন্সেস ডায়ানা। কারণ তখন প্রিন্সের চার্লসের সাথে জুটি বেঁধেছিলেন ডায়ানা।

ট্রাম্প ডায়ানাকে ‘পাগলাটে’ বলে মনে করতেন। এছাড়া তার সঙ্গে একসঙ্গে রাত কাটানোরও স্বপ্ন দেখতেন। ডায়ানাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চাইতেন ট্রাম্প।

১৯৯৬ সালে প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিচ্ছেদ হয়। নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ডায়ানা। কিন্তু মনেপ্রাণে ডায়ানাকে চাইতেন ট্রাম্প। তিনি ডায়ানার জন্য কিংসটন প্যালেসে অজস্র উপহার পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ডায়ানা সাড়া দিয়েছিলেন দোদি ফায়েদকে। ১৯৯৭ সালে মর্মান্তিক এক প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় প্রেমিক দোদি ফায়েদসহ প্রাণ হারান প্রিন্সেস ডায়ানা। সারা বিশ্বের মানুষের মতো ট্রাম্পও আঁতকে ওঠেন।

ডায়ানার মৃত্যুর তিন মাসের মাথায় প্রকাশিত একটি বইয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন , ‘মানুষকে নাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ডায়ানার৷ উনি স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা৷ ’

Leave A Reply

Your email address will not be published.