ফ্রান্সের প্যারিসে শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা

230

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সে এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করার একটি ঘটনাকে ‘ইসলামি সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমের শহরতলীতে শুক্রবারের এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী

স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে একটি স্কুলের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তদন্ত করছে সন্ত্রাস বিরোধী পুলিশ বিভাগ।

ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ওই শিক্ষককে হত্যা করা হয়েছে কারণ তিনি ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র শিক্ষা দিচ্ছিলেন।’ নিহত ব্যক্তির নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

হামলার ঘটনার পরপরই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে মারা যায়। হামলাকারী সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানায়নি পুলিশ।

তিন সপ্তাহ আগে ফরাসী ব্যাঙ্গ রসাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেবদোর পুরনো অফিসের সামনে দুই ব্যক্তির ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে।

২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর ওই অফিসে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়, যেই ঘটনার বিচারকাজ এখনো চলছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম লে মঁন্ড পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তি ইতিহাস ও ভূগোলের শিক্ষক ছিলেন।

শার্লি হেবদো ম্যাগাজিন ইসলামের নবীকে নিয়ে ছাপা হওয়া যেসব কার্টুন মুসলিমদের উষ্মার কারণ হয়েছিল, ওই ধরণের কার্টুন চিত্র প্রকাশের সাথে বাক স্বাধীনতার সম্পৃক্ততা নিয়ে ক্লাসে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করেছিলেন।

ফরাসী মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, শার্লি হেবদো ইসলামের নবীর যেসব কার্টুন ছেপেছিল, সেগুলোর একটি বা একাধিক কার্টুন দেখিয়ে ছাত্রদের সাথে আলোচনা করার জন্য এ মাসের শুরুর দিকে কয়েকজন মুসলিম অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও করেছিলেন।

২০১৫ সালে শার্লি হেবদোর অফিসে হামলায় প্রখ্যাত কার্টুনিস্টসহ ১২ জন মারা যাওয়ার পর থেকে ফ্রান্সে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের একাধিক হামলা হয়েছে। সূত্র: ইউএনবি

Leave A Reply

Your email address will not be published.