দলের মনোনয়ন গ্রহণ করতে চলেছেন ট্রাম্প

242

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় কার্যকালের জন্য মনোনয়ন গ্রহণ করবেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ দেশে একাধিক সংকটের মাঝে তাঁর ভাষণকে ঘিরে জল্পনাকল্পনা চলছে। খবর ডয়চে ভেলে’র।

চার বছর আগে ডনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন গ্রহণ করার সময় তাঁর ভাষণে অ্যামেরিকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছিলেন৷ দাবি করেছিলেন, একমাত্র তিনিই সেই পরিস্থিতি থেকে দেশকে উদ্ধার করতে পারেন৷ চার বছর পর আবার সেই সময় এসে গেছে৷ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প দ্বিতীয় কার্যকালের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন গ্রহণ করছেন৷ কিন্তু ট্রাম্পের সাড়ে তিন বছরের প্রথম কার্যকালের শেষে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বদলে অ্যামেরিকা একের পর এক সংকটে ডুবে রয়েছে৷ করোনা মহামারি, বিপর্যস্ত অর্থনীতি, বর্ণবাদকে ঘিরে অসন্তোষ এবং উপকূলে ভয়ংকর ঘূর্ণীঝড়ের পূর্বাভাষের মাঝে প্রেসিডেন্টকে আগামী চার বছরের ‘উজ্জ্বল’ ভবিষ্যতের স্বপ্ন তুলে ধরতে হবে৷ জনমত সমীক্ষায় পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও তাঁকে ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালাতে হবে৷

এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের উপদেষ্টারা ভেবেচিন্তে ভাষণের রূপরেখা সাজাচ্ছেন বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প নিজের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বশে কী বলে ফেলবেন, তা কেউ জানে না৷ বুধবার তিনি ভাষণের খসড়া নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ দেশাত্মবোধের প্রশ্নে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক দলের নেতিবাচক চিত্র তুলে ধরে ইদানীং তিনি নিজেকে বার বার প্রকৃত দেশপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরছেন৷ সমাজে চলমান সমস্যার কথা স্বীকার করেও তিনি ঐক্যের সুরে কথা বলবেন, এমন পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷ সেইসঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে নিজের প্রথম কার্যকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের দাবিও করতে ভুলবেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ প্রথমদিকে অর্থনীতির ক্ষেত্রে সত্যি সাফল্য অর্জন করলেও করোনা মহামারি ও তার অর্থনৈতিক পরিণাম সামলাতে ব্যর্থতার কারণে তিনি প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷

এদিকে মাইক পেন্স রিপাবলিকান দলের সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় কার্যকালের মনোনয়ন গ্রহণ করে ভাষণ দিয়েছেন৷ পুলিশের নিষ্ঠুর আচরণ ও বর্ণবাদের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সত্ত্বেও পেন্স কড়া হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন৷ তিনি দেশের সব মানুষের জন্য রাজপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন৷ পেন্স বলেন, ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে দেশ রসাতলে যাবে এবং ব়্যাডিকাল সমাজতন্ত্রী হিসেবে তিনি অ্যামেরিকাকে সমাজতন্ত্র ও পতনের দিকে ঠেলে দেবেন৷ পেন্স বলেন, ‘‘আমরা সেটা হতে দেব না৷’’

রিপাবলিকান দলের বক্তারা চীনের প্রতি ট্রাম্পের কড়া নীতির প্রশংসা করেন৷ বাইডেন ক্ষমতায় এলে বেইজিং-এর প্রতি নরম মনোভাব দেখাবেন বলে তাঁরা সতর্ক করে দেন৷ পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ মূলমন্ত্র তুলে ধরেন অনেকে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.