সি আর দত্তের মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে

258

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি. আর দত্ত) বীর উত্তম-এর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

জেনারেল দত্ত জাতীয় নাগরিক কমিটি’র সমন্বয়ক রাণা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ কথা জানিয়ে বলা হয়, সি. আর দত্তের মরদেহ আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ও যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার এমিরেটস্ এয়ারলাইন্স-এর একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আনা হবে।

গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৯ টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সি আর দত্ত মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ‘সি আর দত্তের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাঁর বড় মেয়ে মহুয়া দত্ত, ছেলে চিরঞ্জীব দত্ত ও ছোট মেয়ে কবিতা দাশগুপ্ত কাতার এয়ারলাইন্সযোগে এবং কানাডা প্রবাসী মেজো মেয়ে চয়নিকা দত্ত ও তার স্বামী রণি প্রান্টিস এমিরেটস্ এয়ারলাইন্সযোগে আগামী ৩১ আগস্ট সোমবার যথাক্রমে রাত ২টা ও সকাল ৯টায় ঢাকায় এসে পৌঁছবেন। জেনারেল দত্তের মরদেহ পরিবারের সাথে আনার চেষ্টা চলছে। তবে তা সম্ভব না হলে এমিরেটস্ এয়ারলাইন্স-এ এর পরদিন ১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টায় ঢাকা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল দত্তের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে সাবেক সেনাপ্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) কে. এম. শফিউল্লাহ্-কে আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক বুদ্ধিজীবী শাহ্রিয়ার কবীর-কে সদস্য সচিব করে ১০০১ সদস্যবিশিষ্ট এক জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সি. আর দত্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তার মেয়ের বাসায় গত ২০ আগষ্ট বাথরুমে পড়ে যান, এতে তার পা ভেঙ্গে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর শারিরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।

সি. আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত।

এছাড়াও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ রাইফেলস্)-র প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সি আর দত্ত বীর উত্তম।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন৷ এছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ান বাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়। সূত্র: বাসস

Leave A Reply

Your email address will not be published.