তারেককে এনে রায় কার্যকর করার দাবি নানকের

192

ঢাকা: তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে অনতিবিলম্বে রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘যে বিচার হয়েছে সেই বিচারের রায় অনতিবিলম্বে কার্যকর চাই। কার্যকর চাই এইভাবে, খালেদা জিয়াও অভিযুক্ত হবেন এবং তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।’ গতকাল শনিবার (২২ আগস্ট) মহিলা আওয়ামী লীগের ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

এসময় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার পর শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথনের বর্ণনা দিতে গিয়ে নানক জানান, ‘নেত্রী আমরা সারা বাংলাদেশ বন্ধ করে দেবো, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা হরতাল করব। সেদিন নেত্রী বলেছিলেন, নানক, আমার জন্য আর কত মানুষ মারা যাবে! আমার আর ভালো লাগে না। আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য। তোমরা আগে মানুষগুলোকে বাঁচাও, চিকিৎসার ব্যবস্থা করো। আমার দুই বোনের যা কিছু আছে সব বিক্রি করে হলেও চিকিৎসা করতে হবে, একটি মানুষও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।’ মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করার কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত ছিল উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘কিন্তু সরকার মুক্তাঙ্গনের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কোনো মঞ্চ তৈরি করতে না দেওয়ায় একটি ট্রাক ভাড়া করে অস্থায়ী মঞ্চ করা হয়। যখন ওই জায়গায় নেত্রী শেখ হাসিনা কোনো কর্মসূচি করেন তখন আমরা কিন্তু যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে পার্শ্ববর্তী দালানের ছাদ ও ফ্লোরে পাহারা বসাই। কিন্তু সেদিন পুলিশ আমাদের কাউকে উঠতে দেয়নি। কোনো পাহারা আমাদের দিতে দেয়নি। সেকারণে আমাদের মধ্যে একটা সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তারপর হঠাৎ করেই যখন মেজর ইকবাল সুধা সদন থেকে ফোন করে জানালেন যে, নেত্রী পাঁচ মিনিটের মধ্যে রওনা করছেন। তখন আমরা যুবলীগ অফিস থেকে নেমে যুবলীগের সব নেতাকর্মীদের নিয়ে আমি ও মির্জা আজম নূর হোসেন পয়েন্ট (জিরো পয়েন্ট) অতিক্রম করে আরও বেশ দূরে এগিয়ে গেলাম এবং নেত্রীর গাড়িকে এসকর্ট করে আনলাম।’

সেদিন অস্থায়ী মঞ্চটি ঘিরে মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নেত্রীর ভাষণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হলো এক এক করে। সেগুলো ছিল পাকিস্তানের তৈরি আর্জেস গ্রেনেড। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন জঘন্য আক্রমণ হয়নি। পৃথিবীর ইতিহাসে নেই দলীয় নেতাকে রক্ষার জন্য জাতীয় নেতারা মানবঢাল তৈরি করে।’ তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত চার দলীয় জোট সরকারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়েছিল দাবি করে নানন বলেন, ‘নেত্রীর নিশ্চিত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে চেয়েছিল সেদিনের খালেদা-তারেক-নিজামী। নেত্রীর গাড়ির চাকা পাংচার করে দেওয়া হয়েছে। তারপর নেত্রী যখন সেই গাড়িতে উঠলেন সেই গাড়িকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.