এভাবে চলতে থাকলে সরকারের লোকও বিপদে পড়বে
ঢাকা: ‘দুর্নীতি আর করোনা মানুষকে সমানতালে গ্রাস করছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে কেউ ভালো থাকব না। বিপদে পড়বে সরকারের লোকও। সমাজ পুরোপুরি উল্টো পথে যাওয়ার আগেই সামলানো উচিত।’
করোনাকালে দুর্নীতির প্রসঙ্গ নিয়ে বুধবার (২২ জুলাই) এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
ড. কামাল বলেন, ‘সুশাসনের অভাব থেকেই দুর্নীতি আজ মহামারির মতোই রূপ নিয়েছে। দুর্নীতি আর করোনা সমানতালে গ্রাস করছে সমাজকে। করোনা মহামারি হচ্ছে প্রাকৃতিক কারণে। আর দুর্নীতির মহামারি হচ্ছে মানুষের কারণে। কোথাও কোনো জবাবদিহি নেই। দুঃশাসন, গণতন্ত্রহীন একটি রাষ্ট্রে কী হতে পারে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনা।’
রাজনীতি সত্যিকার রাজনীতিকের হাতে নেই বলেই রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনায় মানুষের অধিকার হরণ হচ্ছে- এমন মন্তব্য করে ড. কামাল বলেন, ‘সাহেদরা যা করছে, তা ক্ষমতাবান রাজনীতিকদের কারণেই। আর এটি পরম্পরায় হয়ে আসছে। অন্য সরকারের আমলেও তাই হয়েছে। স্বাস্থ্যখাত হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতকে জনবান্ধব করতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার কথা, তা হয়নি। হয়নি বলেই করোনার এমন মহামারিকালে প্রতারণা দেখতে পেলাম। করোনা রোগীদের শনাক্ত নিয়ে যে দুর্নীতি হয়, তা কোনো সুস্থ সমাজে হতে পারে না। সমাজ অসুস্থ বলেই স্বাস্থ্যখাতের এমন ভয়াবহ দুর্নীতি। এর দায় জনগণেরও আছে।’
সংবিধান প্রণেতা এই রাজনীতিক বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতির কথা সরকারের লোকও স্বীকার করছে। এটি ভালো লক্ষণ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক পদত্যাগ করেছেন আজ। এটিও ভালো খবর। সরকার বুঝতে চেষ্টা করুক দুর্নীতির ভয়াবহতা রাষ্ট্র, সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কেউ ভালো থাকব না। বিপদে পড়বে সরকারের লোকও। সমাজ পুরোপুরি উল্টো পথে যাওয়ার আগেই সামলানো উচিত।’