বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে ভার্চুয়াল বইমেলা
নিউইয়র্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে ১০ দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বাংলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় এমন ঘোষণা দেন নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা ২০২০-এর আহ্বায়ক, মুক্তিযোদ্ধা ও এমিরেটাস অধ্যাপক ড. জিয়াউদ্দীন আহমেদ। ‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে এটি হবে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত বইমেলার ২৯ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান।
১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সামনে শহীদ মিনার স্থাপন করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং আমেরিকায় বাংলা বইমেলার শুরু করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পী ও ২০টি প্রকাশনা সংস্থার অংশগ্রহণে এবারই প্রথম ভার্চুয়াল বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানানো হয়।
১০ দিনের অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন থাকবে ৪র্থ শিশু-কিশোর মেলা। ২৫ সেপ্টেম্বর থাকছে মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে নামক বিশেষ অনুষ্ঠান। প্রতিদিনের অনুষ্ঠান দেখা যাবে নিউ ইয়র্ক বইমেলার ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল ও সরাসরি টেলিভিশনে। এছাড়া পৃথিবীর সকল দেশ থেকেই বই ক্রয় করার ব্যবস্থা থাকবে।
নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা ২০২০ এর আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘২০২০ সালের বইমেলা নিয়ে আমাদের স্বপ্নই ছিল আলাদা। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ। বছর শুরু হওয়ার আগে জাতির জনককে নিবেদনে নানান প্রক্রিয়া শুরু করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটে জাতির জনকের শতবর্ষ উদযাপনের রেজুলেশন পাশ এবং ২৫ সেপ্টেম্বর যেদিন জাতির পিতা জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন সেদিনকে বাংলাদেশি ইমিগ্র্যান্ট ডে ঘোষণা করার উদ্যোগ ছিল উল্লেখযোগ্য।
মার্চে সারা পৃথিবী যখন কভিড-১৯ এ আক্রান্ত তখনই আমরা ইউনাইটেড স্টেট পোস্টাল সার্ভিস কর্তৃক মাসব্যাপী জাতির পিতা স্মারক ডাকচিহ্ন প্রকাশ করা হয়।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক ফেরদৌস সাজেদীন আলাদা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, বিশ্ব জুড়েই, আমরা এক অভাবনীয়, এক দুঃসহ ও অসহায় সময়ের ভেতর দিয়ে আমাদের জীবন অতিবাহিত করছি। এর মধ্যেই নতুন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে, পৃথিবীর মানুষের সৃষ্টিশীলতা, শিল্প সাহিত্যের, নানা শাখায় আপন আপন প্রাণস্পন্দনে সজীব হয়ে উঠছে।
আর এ পথ ধরেই ’যত বই তত প্রাণ’ স্লোগান নিয়ে আয়োজন করছি ২৯তম বইমেলা। ভার্চুয়াল এই বইমেলাটি হবে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। পৃথিবীর সকল বাঙালির একটি মিলনমেলার লক্ষে আমদের প্রয়াস থাকবে যে ভার্চুয়াল এই মেলাটিও হয়ে উঠবে সবার প্রাণের মেলা’।