ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মঈন উদ্দিনের মামলা

283

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্রিটিশ-বাংলাদেশি চৌধুরী মঈন উদ্দিন (৭১)। ব্রিটিশ এই মন্ত্রীর কাছে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মানহানি মামলা করেছেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রীতি প্যাটেল তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে মঈন উদ্দিনকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে একটি টুইট করেছিলেন। এতে মানহানি হয়েছে দাবি করে প্রীতি প্যাটেলের বিরুদ্ধে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন মঈন উদ্দিন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চৌধুরী মঈন উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। তবে বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তিনি।

এদিকে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে মঈন উদ্দিনের দাবি, গত বছর তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে একটি মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

মঈন উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার একাউন্টে কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজমের ডকুমেন্ট ‘চ্যালেঞ্জিং হেটফুল এক্সট্রিমিজম’ শেয়ার করা হয়েছে। ওই একাউন্টের ফলোয়ার প্রায় ১০ লাখ।

ওই টুইট বার্তা ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, বিবিসির সাংবাদিক মিশাল হুসেইন, মানবাধিকার বিষয়ক ক্যাম্পেইনার পিটার ট্যাটচেলসহ অনেকেই রিটুইট করেছেন। ওই প্রতিবেদনে তাকে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মুসলিম কাউন্সিল অব গ্রেট ব্রিটেন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন চৌধুরী মঈন উদ্দিন। ২০০৩ সালে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন তিনি।

নর্থ লন্ডনে বসবাসকারী মঈন উদ্দিন চার সন্তানের জনক। তার দাবি, তিনি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের সহিংসতায় জড়িতদের সঙ্গে তার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর ব্রিটিশ শাখার সঙ্গেও তার কোনও যোগসূত্র নেই বা তিনি কখনও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাও ছিলেন না।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.