ইতালিতে ফের করোনার থাবা, আক্রান্তদের বেশিরভাগ বাংলাদেশি
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রথম ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ইতালিতে ফের করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তবে এতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের দায়ী করা হচ্ছে। লাজিও অঞ্চলে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে ৮ জনই বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লাস্টারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গতকাল শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। খবর আনাদুলু এ্যজেন্সি ও এপি’র।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে আরও ১৮৮ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। গত একদিনে ইতালিতে করোনায় মারা গেছেন ৭ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৯৪৫ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইতালির নতুন ১৮৮ জন করোনা রোগীর এক তৃতীয়াংশই লোম্বার্দি অঞ্চলের। ইতালির এই অঞ্চলটিতে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
ইতালির সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইতালিতে এখনও করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে তারা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্লাস্টারগুলোর দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
করোনার প্রকোপ প্রতিরোধে বাংলাদেশসহ ১৩ দেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সম্প্রতি ইতালিতে যাওয়া বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির শরীরে করোনা শনাক্তের পর এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার।
নতুন করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপকে অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে তার কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিরোধ বিভাগের পরিচালক জিয়ানি রেজা।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে যাতায়াত নিষিদ্ধ দেশের তালিকা আরও বড় করার দাবি জানিয়েছেন ইতালির বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমিত দেশের নাম ঐ তালিকায় না থাকা খুবই দৃষ্টিকটু। তারা দ্রুত এ ধরনের দেশগুলোর সঙ্গেও যাতায়াত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।