৫ দিনেও মৃত্যু-রহস্য উদঘাটিত হয়নি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালেহর
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: বন্ধুদের সাথে স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ-উল্লাস করা হলো না বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উমর সালেহ’র (২৩)। ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবসে বেলা একটায় সালেহ্’র লাশ উদ্ধার করা হয় হাডসন নদী থেকে। নিউ জার্সির খ্যাতনামা রাটগার্স ইউনিভার্সিটি থেকে এবারই প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেলসহ গ্র্যাজুয়েশনকারী ওমর সালেহ মা-বাবার সাথে বাস করছিলেন নিউ জার্সির এডিশন সিটিতে। সহপাঠীদের সাথে ৩ জুলাই বাসা ছাড়েন সালেহ। পর দিন হাডসন নদী থেকে সালেহ’র লাশ উদ্ধার করা হয়। তার ঠিক ৫ ঘণ্টা আগে ২২ বছর বয়সী এক তরুণীর লাশও উদ্ধার করা হয় ৫০ ফুট ব্যবধানে।
পুলিশ জানায়, এই তরুণী থাকতেন ম্যানহাটানে। তার নাম এলিজাবেথ লীন। তবে উভয়ে পরস্পরের পরিচিত ছিলেন বলে অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, ৮ জুলাই বাদ জোহর নিউ জার্সির এডিসন সিটিতে মসজিদ আল ওয়ালিতে সালেহ’র জানাযা শেষে নিকটস্থ মার্লবরো গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
হাডসন কাউন্টি প্রসিকিউটর ইসথার সোয়ারেজ জানিয়েছেন যে, পানিতে ডুবে তারা মারা গেছেন, নাকি তাদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুটি মৃত্যুই কোন না কোনভাবে সম্পর্কযুক্ত।
উল্লেখ্য, লাশ উদ্ধারের পর পুলিশের কর্মকর্তারা প্রাথমিক দৃষ্টিতে মনে করেছিলেন যে তারা আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পারিপাশ্বিক পরিস্থিতি এবং সালেহর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে মনে করেই বিস্তারিত তদন্তে নেমেছে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা।
হাডসন কাউন্টি প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্যে। কেউ যদি কিছু দেখে থাকেন তবে ২০১-৯১৫-১৩৪৫ নম্বরে ফোন করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। সালেহ’র বড়ভাই একই এলাকার একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার মাও স্কুল শিক্ষিকা বলে জানা গেছে।
জানাজা শেষে সালেহর পিতা মোহাম্মদ কাইয়ুম এ সংবাদদাতাকে টেলিফোনে শুধু বলেন, মৃত্যুর কারণ এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা জোর তদন্ত চালাচ্ছেন বলে আমাকে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সালেহ সাঁতার জানতেন। তবে তরুণীটি সাঁতার জানতেন কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।