অভিযোগে হতবাক প্রধানমন্ত্রী, যা বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বিলে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এই হাসাপাতালের ৩৭শ লোক ৫০টি হোটেলে এক মাস থেকেছেন। আমি বিল দেখেছি। পার রুমের ভাড়া ১১শ টাকা, দিনে তিনবার খাবারের জন্য ৫শ টাকা খরচ হয়েছে। সংসদে যে হিসাবে দিয়ে অভিযোগ করা হলো এটা সঠিক না।
তিনি বলেন, ডাক্তার নার্সরা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন কারণ তারা পিপিই কীভাবে পরতে হয় জানতো না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার করেছি। প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি।
এর আগে সোমবার (২৯ জুন) বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জাতীয় পর্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খাবারের বিলে অনিয়মের অভিযোগ করেন।
ওই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবারের বিল, এটি অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনও অনিয়ম হয়, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সময়ে কোভিড-১৯ চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে হোটেলে থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে থাকা-খাওয়ার বিষয়ে একমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাব অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে বলে বিরোধীদলীয় উপনেতা যেটি বলেছেন, এটি স্বাভাবিকভাবেই অস্বাভাবিক মনে হয়। আমরা তদন্ত করে দেখছি, এত অস্বাভাবিক কেন হলো?
এখানে কোনো অনিয়ম হলে আমরা তার ব্যবস্থা নেব বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের চিকিৎসক ও নার্সদের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা এসেছে বলে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি স্ট্যাটাস দেন চিকিৎসকরা। সেই তথ্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীদলীয় উপনেতা জাতীয় পর্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের প্রশ্ন তুলেন।