কয়েনের দুই ঘষাতেই ৬৭ কোটি টাকার মালিক মিশিগানের এই যুবক

230

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একেই বোধহয় বলে ভাগ্য। শুধু একবার নয়; পরপর দুইবার জিতলেন লটারি। টাকার অংকটাও অনেক লম্বা। কয়েক কোটি নয়, পরপরই দুইবার লটারি জিতে ৬৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের এক যুবক। খবর সিএনএনের

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্ক ক্লার্ক নামের ভাগ্যবান ওই যুবক পরপর দুইবার চার মিলিয়ন করে মোট আট মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৮ কোটি টাকা) ইনস্ট্যান্ট গেম লটারিতে জিতেছেন।

আসলে ৫০ বছর বয়সী এই যুবকের ভাগ্য খুলতে শুরু করেছে আজ থেকে তিন বছর আগে। ওইসময় মিশিগানের হাডসনের একটি গ্যাস স্টেশনে জ্বালানি সরবরাহের কাজ করতে ক্লার্ক। তখন তিনি ইনস্ট্যান্ট গেম লটারির একটি টিকিট কিনেছিলেন। লটারি পরিচালনা কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লার্ক নামতে খুঁজতে বলন এবং তিনি তাই করেন।

তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিনে আর টিকিটের বার কোডের নম্বর ঘষা দিচ্ছিলেন। এরই এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি ক্লার্কের দিকে বিষন্ন দৃষ্টিতে তাকান আর বলেন, ক্লার্ক, আপনি তো চার মিলিয়ন ডলার জিতে গেছেন!

বিস্ফোরক এ খবর শুনেই ট্রাক নিয়ে বাসায় দৌড় দেন পরিবারকে খবরটি দেয়ার জন্য। এরপর থেকেই আগের কাজ থেকে অবসরে আছেন ভাগ্যবান এই যুবক।

এই মাসে আবার একটি ইনস্ট্যান্ট গেম লটারির টিকিট কেনেন ক্লার্ক। এবং এইবারও ভাগ্য তার দিকেই ফিরেছে। দ্বিতীয় দফায় পেয়ে যান চার মিলিয়ন ডলার।

‘আমি টিকিটের বার কোডটি একটি কয়েন দিয়ে ঘঁষা দিই এবং কয়েনটি ১০ বছর আগে বাবা আমাকে দিয়েছিলেন। তিনি শারীরিক জটিলতায় ভুগে মারা গিয়েছিলেন। ওই সময় আমি বাবার জন্য কিছুই করতে পারিনি। তবে আমি ভাবতেই পারিনি যে, এই কয়েনই আমাকে লটারি জিতিয়ে দেবে’-কথাগুলো বলে যান স্মৃতিকাতর ও একই সঙ্গে পুলকিত ক্লার্ক।

তবে দ্বিতীয় দফায় এতগুলো টাকা জিতে খুশি আর ধরে না এই যুবকের। তিনি বলেন, ‘আপনি কল্পনাও করতে পারেন না যে, আপনি একবার হলেও কয়েক মিলিয়ন জিতবেন। আর দ্বিতীয়বার জেতার কথা তো নিশ্চিত কল্পনা করবেন না। তবে দ্বিতীয়বার লটারি জিতে আমার অনুভূতি প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

তবে এতগুলো টাকা পেয়ে নিজের জীবনকে বিলাসিতায় কাটিয়ে দিতে চান না ক্লার্ক। তিনি আবার শৈশবের জীবনে ফিরে যেতে চান। এ বিষয়ে ৬৭ কোটি টাকার মালিক ক্লার্ক বলেন, ‘শৈশবে আমি আর বাবা একসঙ্গে মাছ ধরতাম। এবং এরকম অনেক স্মৃতি আমার জীবনে রয়ে গেছে। তাই আমি বাকি জীবনটা মাছ ধরে এবং পরিবারের সঙ্গে মজা করে কাটিয়ে দিতে চাই।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.