মাছ-মাংসেও করোনার উপস্থিতি আছে : দাবি চীনা গবেষকদের

314

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উহানের ল্যাব, বাদুড় নাকি সামুদ্রিক মাছের বাজার। মহামারির রূপ নেয়া করোনাভাইরাসের উৎপত্তি কোথায়? সে প্রশ্নের সঠিক উত্তর মেলেনি এখনও। তবে, রাজধানী বেইজিংয়ে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে চীন। দেশটির রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় কেন্দ্র (সিডিসি) বলছে, সামুদ্রিক মাছ ও মাংসের একটি পাইকারি বাজার থেকে ছড়িয়েছে সংক্রমণ। সংস্থাটির মতে, মাছ-মাংসের বাজারের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা করোনাভাইরাসের জন্য খুবই সহায়ক।

সিডিসি’র প্রধান কর্মকর্তা উ জুনইয়ো বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে এটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, শিনফাদি বাজারের সামুদ্রিক খাবার ও জলজ পণ্য বিক্রেতাদের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমিত হয়। বাকিরা মাংস বিক্রেতা। তবে সামুদ্রিক মাছের বাজারের কর্মীদের মধ্যে অন্যদের আগে করোনা ছড়িয়েছে।

এদিকে মাছ-মাংসেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকার দাবি করেছে সিডিসি। বলছে, শিনফাদি বাজারের মাছ-মাংসেও মিলেছে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। বাজারে কারও মাধ্যমে এ সংক্রমণ ছড়িয়েছে, নাকি কোনো সামুদ্রিক প্রাণি থেকেই সরাসরি সংক্রমণ হয়েছে- তা নিয়ে এখন গবেষণা চলছে। এরইমধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেইজিংয়ের ৮০ শতাংশ মাছ-মাংস সরবরাহ করা বাজারটি।

এদিকে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ধরা পড়েছে জার্মানির সবচেয়ে বড় কসাইখানায়। টয়েনিস গ্রুপের এই কসাইখানার অন্তত ৬৫৭ জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ভাইরাসটিতে।

টয়েনিস গ্রুপের এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ডা. আন্দ্রে ভিয়েলস্টেড জানান, আক্রান্তের সংখ্যা মাংস কাটা বিভাগের কর্মীদের মধ্যে বেশি। তাদেরকে আলাদা করা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীরই করোনা পরীক্ষা করা হবে।

তবে রাজ্য সরকারের দাবি, সীমান্ত খুলে দেয়ায় পুর্ব ইউরোপের মানুষদের মাধ্যমেই ছড়িয়েছে নতুন এই সংক্রমণ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.