করোনায় যেসব বিশিষ্টজনদের হারাল বাংলাদেশ
ঢাকা: দেশে চরম রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয় ৮ই মার্চ। আর আজ ৮ জুন ৩ মাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সনাক্ত হয়েছে ২৮৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় এবার চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। আজ ১৩ জুন বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮ নম্বরে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জন। যদিও প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। করোনায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মারা গেছেন অনেক বিশিষ্টজন, পুলিশ, ডাক্তার, সাংবাদিক। তাঁদের স্মরণেই এই আয়োজন।
ড. আনিসুজ্জামান : দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান গত ১৪ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃতদেহ থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষা করা হলে জানা যায় তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত একুশে ও স্বাধীনতা পদক এবং ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মান অর্জন করেছেন। বর্ষীয়ান এই বুদ্ধিজীবীকে হারিয়ে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে।
মোহাম্মদ নাসিম : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমও করোনাভাইরাসের শিকার হয়েছেন। ১ জুন জ্বর-কাশিসহ ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হলে মোহাম্মদ নাসিমের করোনা ধরা পড়ে। এরপর শুক্রবার ভোরে তিনি ব্রেনস্ট্রোক করেন। হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে সফল অস্ত্রোপচার হলেও তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তীতে তার তিনবার করোনা পরীক্ষা হলেও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে বলে জানানো হয়। অবশেষে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ১৩ জুন রাজপথের সংগ্রামী এই নেতা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।