বিক্ষোভ দমনে ট্যাংক নামাচ্ছেন ট্রাম্প!

324

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড নামে একজন কৃষ্ণাঙ্গকে পশুর মতো হত্যার প্রতিবাদে এখন বিক্ষোভ ছড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৪০টি শহরে। বিক্ষোভ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিস্ট পার্টি সহ বামপন্থীরা। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ দমনে ইতিমধ্যে সশস্ত্র সেনা ও সামরিক গাড়ি-হেলিকপ্টার নামিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ট্যাংক বহর নামানোর মতো আগ্রাসী পদক্ষেপের কথাও ভাবছেন তিনি। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

পেন্টাগন কর্মকর্তা বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী ট্যাংক, সামরিক যান ও অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহারের কথা ভাবছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২ জুন) হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিক্ষোভ দমনে আরও আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ওয়াশিংটন দিয়েই এটা শুরু করতে পারেন তিনি।

পেন্টাগনের দুই কর্মকর্তা এপিকে জানিয়েছেন, আগের দিন সোমবার ট্রাম্পই দুটি সামরিক হেলিকপ্টার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের ওপরে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের নির্দেশেই ওয়াশিংটনে বেয়নেট ও ভারি অস্ত্রবাহী সেনা নামানো হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, দাঙ্গা দমনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে ৭শ’ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ১৪শ’ সেনা যে-কোনো মুহূর্তে মাঠ নামতে প্রস্তুত।

এগুলোকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ‘শক্তির প্রদর্শনী’ হিসেবে বিবেচনা করছেন তিনি। তবে এই দুই কর্মকর্তার দাবি, এতে পেন্টাগনের কোনো হাত নেই। যা করার সবই করছে হোয়াইট হাউস কর্তারা।

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। আন্দোলন চলছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়েই। নিয়ন্ত্রণে ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিধিনিষেধ ভেঙেই অষ্টম দিনের মতো রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ আকার আগের দিনের চেয়ে বড় হলেও ছিল শান্তিপূর্ণই। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভটি হয়েছে টেক্সাসের হিউস্টনে। এতে যোগ দেয় ফ্লয়েডের আত্মীয়-স্বজনরাও। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও কঠোর দমন-পীড়নের পথে এগোচ্ছেন ট্রাম্প।

Leave A Reply

Your email address will not be published.