বাংলাদেশে করোনায় রেকর্ড সর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে সংক্রমণের হার ২২.৩৩ শতাংশ
ঢাকা: দেশে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ২ হাজার ৫২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। একদিনে এ যাবৎকালের এটাই সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২ হাজার ৮৪৪ জন।
একই সময়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩ জনের। মারা যাওয়া ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ আর ৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ২ জন, সিলেটের ১ জন এবং বরিশালের ১ জন। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৫৮২ জনের মৃত্যু হলো।
শুক্রবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম বিভাগে যে ৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬ জনই চট্টগ্রাম শহরের।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৪৯টি ল্যাবে ১১ হাজার ৩০১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ২ হাজার ৫২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় যতগুলো নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ২২.৩৩ শতাংশের মধ্যে সংক্রমন শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ হার ছিল ২১.৭৯ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২ হাজার ৮৪৪ জন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৯০ জন। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৯ হাজার ১৫জন। শনাক্ত রোগীর বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৮৯ শতাংশ। আর বাংলাদেশে যত রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার ১.৩৬ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৬ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ২ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সের ১ জন।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬শে মার্চ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গণপরিবহন।