ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কতটা ভয়ঙ্কর, ছবি পাঠালো নাসার উপগ্রহ

226

নিউজ ডেস্ক: কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে আম্ফান? আগুয়ান এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়কে নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসা-র উপগ্রহ ‘অ্যাকোয়া’ সম্প্রতি ভারত মহাসাগরের উপর থেকে ছবি পাঠিয়েছিল।

সেখানে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থেকে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করেন, শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে আম্ফান। নাসা-র বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস ছিল, এর ফলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

বুধবার সকাল ১০টায় আম্ফানের অবস্থান ছিল কলকাতা থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দূরে। তখন দিঘা থেকে ১৭৭ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ১২৩ কিমি দূরে ছিল এই ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, ‘সুপার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ থেকে আম্ফান এখন ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়র সাইক্লোনিক স্টর্ম’-এ পরিণত হয়েছে।

কিছুটা শক্তি হারালেও এখন ‘অতি মারাত্মক’ চেহারা নিয়েই দিঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও অঞ্চলে বুধবার বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত দু’বছরে এটা বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্টি হওয়া দ্বিতীয় প্রাক-বর্ষা ঘূর্ণিঝড়। গত বছর বঙ্গোপসাগরের উপর সৃষ্টি হয়েছিল প্রাক-বর্ষা ঘূর্ণিঝড় ফণী। আম্ফান বা উমপুন শব্দের অর্থ ‘আকাশ’।

এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে থাইল্যান্ড। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি-র তথ্য অনুযায়ী আগামী কিছু ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণও করা আছে। তার মধ্যে ‘নিসর্গ’ নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের দেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘গতি’।

‘নিভার’ নামের প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। মলদ্বীপের দেওয়া নাম ‘বরেভি’, মায়ানমার নামকরণ করেছে ‘তোক্তাই’, ওমান নাম দিয়েছে ‘ইয়াস’। এগুলি সবই ভবিষ্যতে যে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে, তার জন্য ঠিক করা হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.