করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ২২ মিলিয়ন ডলার দিল যুক্তরাষ্ট্র

249

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশকে ২২ মিলিয়ন ডলারের (২ কোটি ২০ লাখ) বেশি অনুদান দিয়েছে অনুদান দিয়েছে। এই অনুদানের একটি অংশ চিকিৎসকদের বিনামূল্যে অনলাইনে প্রশিক্ষণে ব্যয় হবে। অনলাইনে প্রশিক্ষণ কোর্সটি বৃহস্পতিবার (৭ মে) উদ্বোধন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র মিশন থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, নভেল করোনাভাইরাস রোগ (কভিড-১৯) বিস্তার প্রতিরোধের প্রস্তুতি এবং কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের চলমান প্রচেষ্টাগুলোতে সম্পূরক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর মাধ্যমে ২২ মিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান দিয়েছে। এই তহবিল বিগত ২০ বছরে বাংলাদেশে ১ বিলিয়ন ডলারের অধিক স্বাস্থ্য সহায়তার ধারাবাহিকতা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানসম্পন্ন জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

চিকিৎসকদের বিনামূল্যে অনলাইনে প্রশিক্ষণ কোর্সটির মাধ্যমে চিকিৎসকরা কভিড-১৯ বিষয়ক দরকারি তথ্য পাবেন। যার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য পেশাজীবী হিসেবে নিজের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করার পন্থা। সরকারের ই-লার্নিং কার্যক্রম মুক্তপাঠ’র মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে চিকিৎসকরা বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম এবং অনলাইন কার্যক্রমের ব্যবস্থাপনা করছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাভুক্ত ও কেবিনেট বিভাগের সমর্থনপুষ্ট এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, ‘রমজান আমাদের এই সংকট মোকাবিলায় নিয়োজিত সামনের কাতারের কর্মীদের সম্পর্কে ভাবা এবং তাদের ধন্যবাদ জানানোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তারা প্রতিদিন অসাধারণ সেবাকাজ করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, পুলিশ, মুদি, ওষুধের দোকান এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা লোকেরা। আমরা যেন নিজের এবং পরিবারের সবার ভালো থাকার জন্য যা যা দরকার তা পাই সেটি নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা। আমি এর মধ্যে সাংবাদিকদেরও যোগ করব। বিশেষ করে সংকটের সময়ে যেকোনো প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের যা প্রয়োজন আপনারা তা যোগান। তা হচ্ছে- বস্তুনিষ্ঠ তথ্য, প্রকৃত ঘটনা ও সত্য। সাংবাদিক, আলোকচিত্র সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজটি পালন করার সময় অনেক সময় ত্যাগ স্বীকারের ব্যাপার থাকে, যেমনটি বাংলাদেশেও ঘটে। আপনারা সবাই প্রকৃত নায়ক এবং আমাদের অন্তরের কৃতজ্ঞতা পাওয়ার দাবিদার।’

মিলার বলেন, আজ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সারাদেশের চিকিৎসকদের জন্য কভিড-১৯ বিষয়ক একটি অনলাইন কোর্স চালু করছে। এই কোর্সটি কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা করার সময় যেসব সতর্কতার বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন সে সম্পর্কে জানতে চিকিৎসকদের সহায়তা করবে। কভিড-১৯ মোকাবেলায় আমাদের সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানসম্পন্ন জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.