সেলুন খোলার অনুমতি পেতে মানতে হবে যেসব শর্ত
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সেলুন আবার চালু করতে অনুমতি পেতে হলে ১৪টি স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। প্রত্যেক কাস্টমারের জন্য গ্লাভস পরিবর্তন, বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বাড়ানো, পারিশ্রমিক দেয়ার সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, দোকানের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের সরঞ্জাম স্থাপন করা এবং কাস্টমার ও সেলুনকর্মী থেকে শুরু করে সবার মাস্ক পরার বিষয়ও রয়েছে এসব স্বাস্থ্যবিধিতে।
কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও পেশার জন্য কারিগরি নির্দেশনা বিষয়ক পুস্তিকায় এমনটি বলা হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গৃহীত স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে পুস্তিকাটি প্রণয়ন করেছেন।
অনুমতি পেতে হলে যে ১৪ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে
১. সেলুন খোলার আগে করোনাভাইরাসবিরোধী যেমন- মাস্ক, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। আপদকালীন পরিকল্পনা তৈরি করুন। আপদকালীন সংক্রমিত বস্তুর এলাকা স্থাপন করুন। সব ইউনিটের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ জোরদার করুন।
২. কর্মীর স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্যবিষয়ক অবস্থান লিপিবদ্ধ করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করুন।
৩. সেলুনের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণের সরঞ্জাম স্থাপন করুন এবং কেবল যারা সাধারণ তাপমাত্রাবিশিষ্ট তারাই যেন দোকানে প্রবেশ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করুন।
৪. অফিসে বায়ু চলাচল বাড়ান। সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এয়ার কন্ডিশনার স্বাভাবিক মাত্রায় চালান। বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল বাড়ান। বের হওয়া বাতাস যেন আবার ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা করুন।
৫. প্রায়শঃই ব্যবহৃত দরজার হ্যান্ডেল এবং সরঞ্জামাদি যেমন চেকআউট কাউন্টার, সিট, লকার ইত্যাদি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন।
৬. হল, চেকআউট কাউন্টার এবং কাস্টমারের অপেক্ষার এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করুন।
৭. টয়লেটে পর্যাপ্ত তরল সাবান সরবরাহ এবং কলগুলোতে পর্যাপ্ত পানির সুবিধা নিশ্চিত করুন ।
৮. হেয়ার ড্রেসিংয়ের সরঞ্জাম এবং বহুল ব্যবহৃত সরঞ্জাম (যেমন তোয়ালে, অ্যাপ্রোন ইত্যাদি) প্রতিবার ব্যবহারের পর জীবাণমুক্ত করুন।
৯. সেলুনে ভিড় কমান এবং রিজার্ভেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন করুন। সিট ব্যবধান দেড় মিটারের কম যেন না হয়। কাস্টমারদের নিরাপদ দূরত্ব এবং সংস্পর্শ ব্যতিরেকে পারিশ্রমিক দেয়ার কথা মনে করিয়ে দিন।
১০. কর্মীদের কাপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে মাস্ক পরতে হবে। হাতের স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করুন। হাত পরিষ্কার রাখুন বা গ্লাভস পরুন এবং প্রত্যেক কাস্টমারের জন্য গ্লাভস পরিবর্তন করুন। হাঁচি দেয়ার সময় মুখ ও নাক টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে রাখুন।
১১. কাস্টমারদেরও মাস্ক পরতে হবে।
১২. পোস্টার, ইলেকট্রনিক স্ক্রিনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যজ্ঞান পরিবেশন জোরদার করুন।
১৩. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। একই সময়ে এয়ার কন্ডিশনিং ও ভেন্টিলেশন সিস্টেমকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মূল্যায়ন হওয়ার আগে পুনরায় তা চালু করা উচিত হবে না।
১৪. মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দোকানগুলোতে বিজনেস আওয়ার সংক্ষিপ্ত করতে বলতে হবে।