প্রাণঘাতী করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ

283

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ ১৪ হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এমনটি জানানো হয়েছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে বিশ্বে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৪৬ জন। মারা গেছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৮ জন। করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ লাখ ৬৯ হাজার ৪২৪ জন। মারা গেছেন ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬২ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, অর্থনীতিকে ফেলে দিয়েছে ভয়াবহ মন্দায়। এসবই ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে ধীরে ধীরে ফিকে করে দিচ্ছে বলে মত অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে আরও ৩৮ লাখ মানুষ বেকার সহায়তার জন্য আবেদন করেছেন। এতে মধ্য মার্চ থেকে দেশটিতে বেকার সুবিধার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা তিন কোটি ছাড়িয়ে গেল।

করোনা মহামারিতে মৃত্যুর দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালির পরই উঠে এলো যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এ ভাইরাসে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৭১১ জন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তার দেশ করোনার চূড়া অতিক্রম করেছে। ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় যুক্তরাজ্যের সমান। তবে জার্মানিতে মারা গেছেন যুক্তরাজ্যের এক-চতুর্থাংশেরও কম মানুষ।

আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষ আটে থাকা রাশিয়া ও তুরস্কেও মৃত্যু অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। রাশিয়ায় গতকাল আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৯৯ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৬ হাজার ৪৯৮ এবং মৃত্যু হয়েছে ১০৭৩ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০১ জন।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এ মহামারির শিকার হওয়ার পরও হাতেগোনা যে কয়েকটি দেশ এ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া তার অন্যতম। এ দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি লোক আর মৃত্যু হয়েছে ২৪৭ জনের।

আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা বলেছে, বিশ্বে নজিরবিহীন লকডাউনের ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের হার এবার ৮ শতাংশ কমে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফিজার বলেছে, জার্মানির বায়োএনটেকের সহায়তায় চলতি বছরের মধ্যেই এক থেকে দুই কোটি টিকা তৈরির টার্গেট তাদের। এখন তারা ওই টিকা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় আছেন। সূত্র: বিবিবি, আলজাজিরা, এএফপি ও রয়টার্স।

Leave A Reply

Your email address will not be published.