করোনা ট্রাজেডি : নিউ ইয়র্কে ছোট ভাইয়ের পর বড় ভাইও চলে গেলেন

282

নিউইয়র্ক : মরণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে ছোট ভাইয়ের পর এবার বড় ভাইও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। প্রায় তিন সপ্তাহের ব্যাবধানে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের সামাজিক সংগঠন টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ খান রাজেস-এর বড় ভাই সফি হায়দার খান (৫৪) মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তিনি করোনা ভাইরাস-এ আক্রান্ত হয়ে গত গত ৩০ মার্র্চ থেকে ম্যানহাটানের মাউন্টসিনাই হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ছোট ভাই সাইফুর হায়দার খান আজাদ (৪৭) করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ৪ এপ্রিল, শনিববার দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে জ্যামাইকা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। খবর ইউএনএ’র।

মোহাম্মদ খান রাজেস ইউএনএ প্রতিনিধিকে জানান, অসুস্থ্য হয়ে তার ভাই সফি হায়দার খান বিগত ২১ দিন ধরে ম্যানহাটানের মাউন্টসিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ সনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা চললেও শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এই হাসপাতালেই তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে (২১) ও এক মেয়ে (১৩) সহ অরেক আত্মীয় -স্বজন রেখে যান। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নিউইয়র্কের রীচমন্ড হিলে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।

এদিকে মরহুম সফি হায়দার খানের স্ত্রী মাসুমা পারভীন এলি তার ছোট মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন। পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি দেশে যাওয়ার পর করোনা পরিস্থিতিতে তার নিউইয়র্ক ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফরে চরম অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর সময়ও স্বামীর পাশে থাকতে পারলেন না স্ত্রী, বাবাকে দেখতে পেলো না আদরের কন্যা।

মোহাম্মদ খান রাজেস আরো জানান, তারা ৫ ভাই ও এক বোন নিউইয়র্কে বসবাস করেন। মৃত্যুবরণকরী তার দুই ভাই নিউইয়র্ক সিটির রিচমন্ডহীলে দুই ফ্যামিলির একই বাসায় বসবাস করতেন। উল্লেখ্য, মোহাম্মদ খান রাজেসরা টাঙ্গাইল শহরের ছয়আনী বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার চকতৈল।

শোক প্রকাশ: এদিকে টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ খান রাজেস-এর বড় ভাই সফি হায়দার খানের অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে সমিতি’র পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম খান।

এছাড়াও সফি হায়দার খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.