সারাদেশে সীমিত করা হলো এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল

287

ঢাকা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ছুটি আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে ২৪ ও ২৫ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় অফিস খুলবে আগামী ২৬ এপ্রিল।

আজ শুক্রবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘোষিত সাপ্তাহিক ও সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ এপ্রিল ও ১৬ এপ্রিল এবং ১৯ হতে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হর। সাধারণ ছুটির সাথে আগামী ১৭ ও ১৮ এপ্রিল এবং ২৪ ও ২৫ এপ্রিল তারিখের সাপ্তাহিক ছুটি সংযুক্ত হবে।

এর আগে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত, দ্বিতীয় দফায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। তৃতীয় দফায় ১২ ও ১৩ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। আর পরদিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এ ছুটি অন্যান্য সাধারণ ছুটির মতো বিবেচিত হবে না। ছুটিকালীন নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাবলি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।

১. করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে।
২. অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হলো।
৩. সন্ধ্যা ছয়টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। এই নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪. এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হলো।
৫. বিভাগ/জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তাকে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।

এছাড়াও জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না জানিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনেও অফিস খোলা রাখা যাবে।

প্রয়োজনে ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.