মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়ার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমও

146

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২৫ মাসেরও বেশি সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপি প্রধানের কারাজীবনে তার সাথে থাকা গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগমও। খবর ইউএনবি’র।

বুধবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ফাতেমাকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে গুলশানের বাসভবনের দিকে রওনা হন খালেদা জিয়া।

দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর থেকে তার সাথে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন ফাতেমাও। বন্দির সাথে গৃহপরিচারিকা থাকার বিষয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করা হলেও, বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান খালেদার সাথে ফাতেমাকে থাকার নির্দেশ দেন।

পরে কারারক্ষীদের সাথে ফাতেমাও হাসপাতালে থেকে খালেদা জিয়ার সার্বিক দেখাশোনা করতেন।

এর আগে, দুর্নীতির মামলায় কারাভোগের পর নির্বাহী আদেশে ছয় মাস দণ্ড স্থগিত হওয়ায় সাময়িক মুক্তি পেয়ে বুধবার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ।

বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তাকে বহন করা গাড়িটি রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করে।

এর আগে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বিএসএমএমইউ থেকে বের হয়ে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের গাড়িতে গুলশানের পথে রওনা হন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে যাওয়ার পর পরিত্যক্ত পড়েছিল বাসভবন ‘ফিরোজা’। তাকে বরণ করে নিতে বাসাটি পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করে প্রস্তুত করে তোলা হয়েছে।

এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার গুলশানে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আইনমন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার বয়স এবং মানবিকতা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। একই বছরে তিনি আরও একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। যদিও বিএনপির দাবি, দুটি মামলাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে প্রথমে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হলেও গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.