‘ক্রীড়ানুরাগী বঙ্গবন্ধু পরিবার’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

228

ঢাকা: দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অবদান নিয়ে রচিত মুজিববর্ষের স্মারক গ্রন্থ ‘ক্রীড়ানুরাগী বঙ্গবন্ধু পরিবার’-এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশেষ প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।  

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বইটির সম্পাদক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর ইয়াসিন কবীর জয়, উপদেষ্টা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকতার হোসেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পিএস-১, পিএস-২, এপিএস-১ উপস্থিত ছিলেন।খেলাধুলার প্রতি অনুরাগ বঙ্গবন্ধু পরিবারের দীর্ঘদিনের। বলা যায় ক্রীড়ানুরাগ তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা শেখ লুৎফর রহমান ক্রীড়ানুরাগী মানুষ ছিলেন। ফুটবল খেলতেন। গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের ফুটবল টিমের প্রধান ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুও শৈশব থেকে পিতার মতোই ছিলেন ক্রীড়ানুরাগী। তিনি ছিলেন গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল ফুটবল টিমের প্রধান। ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে গোপালগঞ্জ ছেড়ে গেলে এবং ক্রমে রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও খেলাধুলার প্রতি বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ কমেনি। ঢাকায় তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ফুটবল, ভলিবল খেলেছেন।

বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছে এই ক্রীড়ানুরাগ। তার বড় ছেলে শেখ কামাল ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, হকিসহ বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী ছিলেন। আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে ফুটবলের আধুনিকায়নে তার অবদান চিরস্মরণীয়। তার স্ত্রী সুলতানা কামালও ছিলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী অ্যাথলেট। 

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়ানুরাগও সর্বজনবিদিত। সরকার পরিচালনায় ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি বিভিন্ন সময় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে তাদের খোঁজখবর নেন, বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান, এমনকি রান্না করে তাদের বাড়িতে খাবারও পাঠিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।  

জয়ীতা প্রকাশনীর ‘ক্রীড়ানুরাগী বঙ্গবন্ধু পরিবার’ শিরোনামের বইটিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অবদান তুলে ধরা হয়েছে। ৭৮ পৃষ্ঠার এ বইয়ে স্থান পেয়েছে শতাধিক আলোকচিত্র, যার অনেকগুলোই দুর্লভ। বইটির প্রচ্ছদ ও গ্রন্থপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ। 

Leave A Reply

Your email address will not be published.