পদ হারানোর নিয়ে মুখ খুললেন যুবলীগের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরি

299

ঢাকা: যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতির জন্য গণমাধ্যমকে দায়ী করেছেন ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি গতকাল সোমবার টেলিফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে এখনো তেমন কিছু প্রমাণ হয়নি। তবে যা হয়েছে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে হয়েছে। হোক; গণমাধ্যম আজ স্বাধীন এবং গণমাধ্যম স্বাধীন হওয়াই উচিত।

গণমাধ্যম তো সরকারি সংস্থা বা বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। তা হলে শুধু সেটিকে মিডিয়া ট্রায়াল কেন বলছেন, এমন প্রশ্নে ওমর ফারুক বলেন, আমি সেটিকে মিডিয়া ট্রায়ালই বলব। স্বাধীন গণমাধ্যম অনেক কিছুই লিখেছে। এ কারণে আমাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আপনার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মিডিয়ায় প্রকাশ্যে কথাও বলেছেন। কথা শেষ না হতেই ওমর ফারুক বলেন, হ্যাঁ, হয়েছে। প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি তারা প্রমাণ করতে পারে, আমার অ্যাকাউন্টে অনৈতিক জায়গা থেকে টাকা ঢুকেছে, তা হলে আমার উচিত হবে সেটিকে আইনিভাবে মোকাবিলা করা। সর্বোপরি যদি প্রমাণ করতে পারি আমি নির্দোষ, তা হলে মুক্তি পাব; অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে যা হওয়ার হবে। আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি।

কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই নিজেকে আড়াল করে রাখছেন কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে যা লেখা হচ্ছে, তাতে কি আর সানন্দে বাইরে যাওয়া যায়? সে জন্য বাইরে যাই না, ঘরেই থাকি। আমার উচিত সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করা, সেই প্রক্রিয়াতেই আছি।

গত রবিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ওমর ফারুক চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন গণভবনে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগঠন পরিচালনায় অদক্ষতা, অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দেওয়া, ক্যাসিনোর মতো ঘটনার প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে ওমর ফারুককে যুবলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.