ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

377

ঢাকা: ভারতে চার দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী উড়োজাহাজ রবিবার রাত  ১০টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এর আগে রবিবার (০৬ অক্টোবর) ভারতের স্থানীয় সময় রাত ৮টার  পর নয়াদিল্লি পালাম বিমান বাহিনী স্টেশন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে দিল্লি ছাড়েন তিনি।

ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলীকে সঙ্গে নিয়ে বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

এর আগে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর তাঁর প্রথম ভারত সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রোববার নয়াদিল্লীর ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

শেখ হাসিনা একই দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সন্ধ্যায় তিনি আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নয়াদিল্লীতে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার ২০১৮’ গ্রহণ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা তাজমহল হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার প্রদান করেন।

এর আগে রবিবার সকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন। একই দিনে শেখ হাসিনা একটি সরকারি মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন এবং হায়দরাবাদ হাউজের দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।

চারদিনব্যাপী সফরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে বাংলাদেশ বিষয়ক কান্ট্রি স্ট্রাটেজি ডায়ালগে যোগ দেন।

ঐদিন তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে তাঁর সম্মানে একটি সংবর্ধনা এবং বাংলাদেশ হাউজে একটি নৈশভোজে যোগ দেন। ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ নৈশভোজের আয়োজন করে।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ভারতের শীর্ষ স্থানীয় সিইওদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এছাড়া তিনি ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (আইবিবিএফ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনেও যোগ দেন।

সিঙ্গপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সোয়ি কিট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর আগে ৩ অক্টোবর সকালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে এখানে আগমন করলে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.