চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

370

ঢাকা: চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও কয়েকটি চুক্তি সম্পাদনের পাশাপাশি শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করবেন।

বৃহস্পিতবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীসহ তাঁর সফর সঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশের ভিভিআইপি ফ্লাইট নং (বিজি-২০৩০) যোগে হযরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল তাজমহল হোটেলে যাবেন।

ওইদিন শেখ হাসিনা দুপুরে তাজমহল হোটেলের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিট’ শীর্ষক ‘কান্ট্রি স্ট্যাটিজি ডাগালগ অন বাংলাদেশ’ এ অংশগ্রহণ করবেন।

একই দিন সন্ধ্যায় তিনি তার সম্মানে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মৈত্রী হল ও বাংলাদেশ হাউসে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও নৈশভোজে যোগ দেবেন। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার নৈশভোজের আয়োজন করবেন।

টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা এই প্রথম ভারত সফরকালে ৫ অক্টোবর নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে বসবেন। তিনি একই দিনে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দের সাথে রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর অবস্থানকালীন আবাসে সাক্ষাৎ করবেন।
৪ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী তিয়ানে আইসিটি মোরিয়ার ভারতীয় সিইওদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। এছাড়াও তিনি আইসিটি মোরিয়ার কমল মহলে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (আবিবিএফ)’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেবেন।

সিঙ্গাপুরের উপ প্রধানমন্ত্রী হেং সুই কিয়েট বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

কর্মকর্তারা বলেন, নিউইয়র্কের ৭৪তম ইউএনজিএ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি যে ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলেন, হায়দ্রাবাদ হাউসের বৈঠকে তারা সেই ইস্যুগুলোই পর্যালোচনা করবেন।

একই দিন, কয়েকটি এক্সচেঞ্জ অব এগ্রিমেন্ট ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে এবং হায়দ্রাবাদ হাউস থেকে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে কয়েকটি প্রকল্প শুরু করবেন।

এর আগে ওই দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানকালীন বাসভবনে দেখা করবেন। শেখ হাসিনা একই দিন সরকারি মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিবেন এবং হায়দ্রাবাদ হাউসে দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।

ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। তাকে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

৬ অক্টোবর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গি হিসেবে রয়েছেন- প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনসি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আমেদ পলক, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.