প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের স্মারক গ্রন্থ ‘আলোর পথযাত্রী’র মোড়ক উন্মোচন

407

নিউইয়র্ক থেকে: বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিনের স্মারক গ্রন্থ ‘আলোর পথযাত্রী’র মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।

২৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনের আগে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন বইটির মোড়ক উন্মোচন ও একটি এ্যাপস উদ্বোধন করেন।

এ সময় স্মারক প্রকাশনাটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর ইয়াসিন কবীর জয় এবং গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত এবং ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এবার ৭২ পেরিয়ে ৭৩-এ পা রাখলেন।

১৯৮১ সালে যখন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, বস্তুত তখন থেকেই এ দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎও তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। প্রায় চার দশক ধরে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় বা ক্ষমতার বাইরে থেকে নিরন্তর দেশের গণতন্ত্রায়ণ এবং উন্নয়নের নিমিত্তে কাজ করে চলেছেন।

বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জয়ীতা প্রকাশনী প্রকাশ করেছে এই জীবন্ত কিংবদন্তীর সংগ্রামী কর্মময় জীবনের প্রামাণ্য চিত্রগাঁথা ‘আলোর পথযাত্রী’। তাঁর বিপুল কর্মময় জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলোকে বহু আলোকচিত্রী নানাভাবে ক্যামেরায় ধারণ করেছেন। পাশাপাশি ফটোসাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয়ের নিজস্ব সংগ্রহও রয়েছে। এর মধ্য থেকে বাছাই করে পাঁচ শতাধিক আলোকচিত্র আটটি পর্বে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, জন্মদিনে তাঁর বহুমাত্রিক কর্মের মুহূর্তগুলো স্মরণের আলোয় ফিরিয়ে আনার ভেতর দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।

পর্বগুলোর শিরোনাম- সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি, মহিমা তব উদ্ভাসিত, মুক্তিসংগ্রামের অগ্রদূত, গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা, ফিনিক্স পাখির গান: ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ : বিশ্বজোড়া সম্প্রীতি, ভুবনময় সুখ্যাতি, মাদার অব হিউম্যানিটি ও অন্য আলোয় শেখ হাসিনা।

৩৬০ পৃষ্ঠার বইটিতে আরো রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার একটি তথ্যবহুল সংক্ষিপ্ত জীবনী ও সৈয়দ শামসুল হকের ‘আহা, আজ কী আনন্দ অপার!’ কবিতাটি। জয়ীতা প্রকাশনীর স্মারক গ্রন্থ ‘আলোর পথযাত্রী’র সম্পাদনা, প্রচ্ছদ ও অঙ্গপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.