সব ক্ষমতা পাচ্ছেন ছাত্রলীগের দুই ভারপ্রাপ্ত নেতা
ঢাকা: অবশেষে পদ হারালেন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই নেতা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তাদের জায়গায় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে আল নাহিয়ান খান জয়কে। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন লেখক ভট্টাচার্য।
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত এই দুই নেতা পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত সাংগঠনিক সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
তিনি জানান, বর্তমান কমিটির বাকি ১০ মাস মেয়াদে সাংগঠনিক কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সাংগঠনিক সব কাজ করতে পারবেন তারা।
আবদুর রহমান বলেন, শোভন-রাব্বানী কমিটির বাকি মেয়াদে তারা দায়িত্বে থাকবেন। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন থেকে শুরু করে নিয়মিত সব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন তারা।
এদিকে সাম্প্রতিক বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে শোভন- রাব্বানী বাদ পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিরোধী মতাদর্শীদের অর্থের বিনিময়ে সংগঠনে অনুপ্রবেশ ঘটানো, স্বেচ্ছাচারিতা, ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন, দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের অগ্রাহ্য করা, মাদক সেবন, টেন্ডার ও তদবির বাণিজ্যসহ অসংখ্য অভিযোগে শোভন ও রাব্বানীর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় তিনি কমিটির র্শীষ দুই পদে নতুন নেতৃত্ব আনার আভাস দেন। এরপরই একের পর এক দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসে শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে।
এরপরেই শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অবশেষে শোভন-রাব্বানীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের বদলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয় আল নাহিয়ান খান। অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান লেখক ভট্টাচার্য।
জয়ের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর ইউনিয়নে। তার বাবার নাম আব্দুল আলীম। বরিশালে এসএসসি পাস করার পর ঢাকা কমার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে।
ঢাবিতে অধ্যয়নকালীন আল নাহিয়ান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সভাপতি হওয়ার আগে ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
অন্যদিকে লেখক ভট্টাচার্যের বাড়ি যশোরে। তিনি জেলার মণিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাহিরঘরিয়া গ্রামের দেবাশীষ ভট্টাচার্যের ছেলে। এর আগে তিনি ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।