দেশে এসেছে বিমানের ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে তৈরি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উড়োজাহাজটি আজ দেশে এসেছে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজহংস ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর রাজহংসকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাজহংসের দেশে আসার কথা ছিল। পরে শনিবার দেশে নিয়ে আসার নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় বিমানের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ ঢাকার উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে। বিমানের একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারটে ডেলিভারি ও অপারেশনস সেন্টার থেকে রাজহংসকে নিয়ে ঢাকায় আসেন।
এ উড়োজাহাজটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬টি।
বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানান, আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’-এর শুভ উদ্বোধন করবেন।
বিমানের ১০টি বোয়িংয়ের মধ্যে আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস নামে চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত নামে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং মেঘদূত ও ময়ূরপঙ্খী নামে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে ড্রিমলাইনার। অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানিও কম লাগে এটিতে। অন্য তিনটি ড্রিমলাইনারের মতো ‘রাজহংস’এর আসনসংখ্যা ২৭১টি। বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যর সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।