জাবি উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার শোভন-রাব্বানীর
ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
শোভন শুক্রবার রাতে একটি জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টালকে বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি টেন্ডারের ভাগ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে জানতে পেরে আমরা উপাচার্য মহোদয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। এখানে আমাদের চাঁদাবাজির কোনো বিষয় ছিল না। আমরা ঘটনা জানার চেষ্টা করার পর থেকেই উপাচার্য ম্যাডাম কী কারণে ক্ষিপ্ত হয়েছেন জানতে পারি নাই। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডারের কাজে আমাদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না।’
এ বিষয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রকল্পের ৪-৬ শতাংশ অর্থ এনে দিতে তাকে চাপ দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গত ৮ আগস্ট তার বাসভবনে এসেছিলেন। এ সময় তারা বলেন যে, উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কয়েক শতাংশ অর্থ এনে দিতে হবে। তিনি রাজি না হওয়ায় তারা তাকে চাপ দিয়েছিলেন।’
সম্প্রতি গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে খবর প্রকাশ হয়।
এর কারণ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চাঁদা দাবিসহ তাদের সাম্প্রতিক কয়েকটি কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরক্তির কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।