খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি পিছিয়ে ৬ নভেম্বর
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১০ মামলার অভিযোগ গঠন এবং একটি মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি পিছিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর (বুধবার) নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জে কারাগারের দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের বিচারক ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস নতুন এ দিন ধার্য করেন।
গত ১৭ জুলাই একই আদালত মামলাগুলোর অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির জন্য ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দিন ধার্য করেছিলেন।কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর অধিকাংশই হাইকোর্টে স্থগিত রয়েছে এবং তিনি নিজেও অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এজন্য মামলার শুনানির সময় বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আদালত ওই আবেদন গ্রহণ করে ৬ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
মামলাগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি, যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দু’টি এবং দারুস সালাম থানায় নাশকতার ৮টি মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে’ মন্তব্য করলে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে নূর আলম নামে এক যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে ওই থানায় মামলা দু’টি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে হয় আটটি মামলা।
মামলাগুলোতে উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- এম কে আনোয়ার, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ প্রমুখ। এর মধ্যে এম কে আনোয়ার মারা গেছেন।