বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি : বিচারের মুখোমুখি খালেদা জিয়া

357

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দায়ের এই মামলা বিচারের জন্য অন্য আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমান এই নির্দেশ দেন।

গত ২০ মার্চ এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। রবিবার ওই মামলায় পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এই মামলায় খালেদা জিয়া গত ১৮ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। জামিন সংক্রান্ত আদেশ নিম্ন আদালতে পৌঁছানোতে পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদনের দরকার নেই। নিয়ম অনুযায়ী আসামি মামলায় হাজির হলেই মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়। এখন যেকোনো একটি আদালতে পাঠানো হবে। এরপর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হবে।

এর আগে গত ২৯ জুলাই ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলাও বিচারের জন্য স্থানান্তরের নির্দেশ দেন একই আদালত।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’

ওই অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, সংখ্যালঘুর বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। যেমন পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেপ্তার, গুম এবং হত্যা করছে।’

এসব বক্তব্য দেওয়ায় ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত বছর ৩০ জুন শাহবাগ থানা প্রতিবেদন দাখিল করে বাদীর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন বলে আদালতকে জানান।

আদালত প্রথমে খালেদা জিয়া হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় বা আইনজীবীরা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, দুটি র্দুনীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া এখন কারাগারে আছেন। কারা হেফাজতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.