খালেদা জিয়ার মুক্তির আশায় অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে বিএনপি

262

ঢাকা: দীর্ঘ এক বছর পাঁচ মাস ধরে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ৩৬টি। এরই মধ্যে ৩৪টিতে জামিনও পেয়েছেন তিনি। আর মাত্র দুটি মামলায় জামিন পেলে কারামুক্তি পাবেন তিনি। তখন হয়ত তাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনার অবসানও ঘটবে।

গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা সমীকরণ। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতারাও। কর্মীদের অবস্থাও ছিলো একই। সবচেয়ে বেশি ছেড়াবেড়া অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে ছাত্রদলে। রাজনীতিতে কোনঠাসা হওয়া বিএনপির এই অঙ্গসংগঠন দফার দফায় দাঙ্গা-ফ্যাসাদে জড়িয়েছে। একাধিকবার কেন্দ্রীয় অফিসে তালাও ঝুলিয়েছে।

কিন্তু গত কয়েকদিনের বয়ে যাওয়া রাজনৈতিক বাতাসে এখন ইতিবাচক গন্ধ পাচ্ছে বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীরা অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছে তাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিদিনের।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বিএনপির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ জুমবাংলাকে বলেন, ‘তিন দশকের বেশি সময়কার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এত দীর্ঘসময় কখনই উনাকে কারাগারে থাকতে হয়নি। কিন্তু ক্ষমতার লোভে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এখন অন্ধ হয়ে গেছেন। কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনে যে সরকারের হাত আছে সেটি দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথাতেও সেটি প্রমাণ হয়।’

আর মাত্র দুটি মামলায় জামিন পেলে অসুস্থ নেত্রী কারামুক্তি পাবেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। ১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন তিনবারের এ প্রধানমন্ত্রী।

যে দুটি মামলায় খালেদা জিয়া জামিনের অপেক্ষায় আছেন তা হলো- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এই দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের সাজা হয়েছে। ওই দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন চাওয়া হয়েছে।

মামলা দুটি প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সরকার হস্তক্ষেপ না করলে এ ধরণের মামলায় জামিন পাওয়া কোনও বিষয় নয়। আমি আশা করব, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে সরকার আর রূঢ় আচরণ করবে না।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.