নড়াগাতি ছাত্রলীগ সভাপতির বিয়ে, ‘কাবিননামা’ ভাইরাল
নিউজ ডেস্ক: গত বছরের ১১-১২ মে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের আড়াই মাস পর রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কমিটির মেয়াদ ১০ মাস পার হলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি শোভন-রাব্বানী।
এরমধ্যে শনিবার ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে নড়াইল জেলার নড়াগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে রিয়াজুল ইসলাম খান (খান রিয়াজ) সভাপতি ও মো. মোরসালিন খন্দকারকে (লালিফ) সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এছাড়া নড়াগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম খান রিয়াজ বিবাহিত বলে অনেকে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে তার ছবি ও কাবিননামার কপি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নড়াগাতি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে কমিটির প্যাডটি আপলোড করেন। সেখানে মন্তব্যের ঘরে অনেকেই সমালোচনা নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি সমালোচনাও করেন।
জহিরুল চৌধুরী লিখেন, ‘এই মাওলানা বিবাহ পড়াইছে। বিবাহ করলেও কী ছাত্রলীগ করা যায়?’ এই মন্তব্যের সঙ্গে তিনি ওই কাজীর ছবিও পোস্ট করেছেন।
মাহফুজুর রহমান মাসুম মন্তব্য করেছেন, ‘কেন্দ্রের কমিটি পূর্ণাঙ্গা করেন পারলে। এর পর জেলাগুলোর কমিটি দিয়ে আমাদের পরিচয়টুকু দেওয়ার জায়গাটা করে দেন।
তোফাজ্জল হোসেন সোহান বলেন, আপনাদের পূর্নাঙ্গ কমিটি কবে হবে? দেখতে দেখতে তো নয় মাস হয়ে গেল।
আরেকজন লিখেন, থানা কমিটি যদি কেন্দ্রীয় কমিটি দেয়, তাহলে জেলার কমিটির কাজ কোথায়? নিজেদের কমিটি পূর্ণাঙ্গ নাই আর আপনারা থানা কমিটি দিচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মানের দিকে নজর দিয়েন।
শেখ রাহাদ খান বলেছেন, কেন্দ্র থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদের জন্য যে কামড়াকামড়ি লাগাইছিলেন সে হিসেব ধরলে সারা দেশের সব কমিটিতে আপনাদের নাম আমরা আশা করছিলাম… নতুন নাম কেন আপনাদের চাই সব কমিটিতে।
তারেক হাসান লিখেছেন, প্রায় সকল কমিটি ই বর্তমানে অপূর্ণ। এতে নতুন নেতৃত্ব যেমন আসছে না, তেমনই ছাত্রলীগ তার কার্যকারিতা হারাচ্ছে। থানা/উপজেলা পর্যায়ের কমিটি যখন কেন্দ্র থেকে আসছে, তখন জেলা কমিটির মর্যাদা কমে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এর কমিটি ও পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না, সব মিলিয়ে আমি মনে করি, ছাত্রলীগ ঝিমিয়ে যাচ্ছে।
ফয়সাল আহমদ তমাল বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে দিবেন? উপজেলার চেয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা জরুরি…
সোহেল রানা লিখেন- কেন্দ্রীয় কমিটির গঠনতন্ত্র কী? কবে পূর্ণাঙ্গ হবে?? এ ছাড়াও নড়াইলে এই কমিটি নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা হচ্ছে।
মোজহিদ আদনান লিখেন- কিছু প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছি না!! ১) কেন্দ্রীয় নেতাদের সইয়ের নিচে ১৭/০৪/১৯ তারিখ লেখা কিন্তু ঘোষণা করা হলো ২৭/০৪/১৯ তারিখ কেন? ২) আমার জানা মতে রিয়াজ ভাই বিবাহিত, তিনি কিভাবে নড়াগাতী থানার সভাপতি হন? ৩) দীর্ঘ ১০ দিন পর কেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ঘোষণা দিলো? ৪) কি এমন ঘটনা হলো যে হঠাৎ কেন্দ্রীয় কমিটিকে কেন নড়াগাতী থানার কমিটি দিতে হলো? ৫) যদি কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থানা কমিটির অনুমোদন দেয়, তাহলে জেলা কমিটির কি দরকার আছে? তাহলে সকল জেলা কমিটি বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি সকল জেলা পরিচালনা করুক।
এ বিষয়ে জানার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।